রমেন দাস: ভূতের কবলে অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu)। কয়েকদিন আগে এই নিয়েই তোলপাড় হয়েছিল সোশাল মিডিয়া। শুটিং থেকে বাড়ি ফিরে অভিনেতা দেখেন তাঁর ঘর লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। তারপরেই একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিনেতা। সেখানেই জানান যে, বেশ কিছুদিন ধরেই নানা ভৌতিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মাঝেমাঝে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। এই অভিজ্ঞতার কথা জানানোর পরই ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল টিমের তরফে রণজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় একদিন। বলে রাখা ভালো, এই সংস্থা মূলত প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটি নিয়েই কাজ করে। সেদিন সংস্থার তরফে দেবরাজ সান্যাল ও তাঁর স্ত্রী ইশিতা দাস সান্যাল তাঁদের টিম নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ রণজয়ের বাড়িতে পৌঁছান। তাঁরা রাত ২.৩০ পর্যন্ত রণজয়ের ফ্ল্যাটে ছিলেন। সেখানে কোনও রহস্যের সন্ধান কি পাওয়া গেল?
বাইপাসের ধারে একটি বহুতলে চব্বিশ তলায় থাকেন রণজয় (Ranojoy Bishnu)। সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেবরাজ, ইশিতা ও তাঁদের টিম রণজয়ের থেকে জানতে চান ঠিক কী কী ঘটছে তাঁর সঙ্গে? সবটা শোনার পর তাঁরা কাজ শুরু করেন। প্রথম ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড মিটারের (ইএমএফ) সাহায্যে ভাইব্রেশন চেক করা হয়। একটা বাটিতে জল নিয়ে যে টেবিল থেকে ফটোফ্রেম ও গাছের টব পড়ে ভেঙেছিল, সেখানে রাখা হয়। কিন্তু কোনওরকম ভাইব্রেশন তাতে ধরা পড়েনি বলেই জানিয়েছে ডিওএস। বাইপাসের ধারে বহুতল। রাস্তায় সারাক্ষণ গাড়ির ভিড়, আওয়াজ। তাঁরা বলেন, উপরের তলের ফ্ল্যাটগুলিতে সব সময়ে কোনও না কোনও কাজ চলে, তাতেই হয়তো সেদিন ভেঙে পড়েছিল জিনিসগুলি। তবে এখানেই শেষ নয়।
এরপর চেক করা হয় ঘরের তাপমাত্রা। ঘরে ক্যামেরা বসিয়ে দেখা হয় সেখানে কোনও নেগেটিভ এনার্জির উপস্থিতি রয়েছে কিনা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঘরে বেশকিছু ভাইব্রেশনের হদিশ মিলেছে। এরপরই রণজয় নাকি সেই এনার্জির উদ্দেশে নমনীয়ভাবে বলেন, ঘরে যিনি আছেন তিনি যেন সম্মানের সঙ্গে বেরিয়ে যান। এরপরই নাকি তীব্র পজিটিভ ভাইব পান তিনি। সমস্ত ভয় কেটে যায় রণজয়ের।
