নিরুফা খাতুন: নতুন বছরে ফের জমিয়ে ইনিংস শুরু শীতের। সোমবার সকাল থেকেই কমল কলকাতা-সহ রাজ্যের তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমবে বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস। আগামী তিনদিন বজায় থাকবে শীতের আমেজ। তবে জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি নয়। উত্তরবঙ্গ ছাড়া আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কলকাতায় ছিল ২৫.২ ডিগ্রি। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৫ থেকে ৯০ শতাংশ। সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার থেকে পরিবর্তন হবে তাপমাত্রার। রাজ্যজুড়ে কুয়াশার সম্ভাবনা। মালদহ, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বেশিরভাগ জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে।
[আরও পড়ুন: রাতেই ‘সূর্যোদয়’! তৃণমূলের প্রয়াসে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বিদ্যুৎ পেল হলদিয়ার ২টি গ্রাম]
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে আগামী ২৪ ঘন্টায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়া রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার থেকে আরও নামবে তাপমাত্রার পারদ। শনি ও রবিবারের মধ্যে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। জেলার তাপমাত্রা আরও তিন-চার ডিগ্রি নিচে থাকবে। জাঁকিয়ে শীতের একটা স্পেল আসতে চলেছে বলেই অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
এদিকে, শীতল উত্তর-পশ্চিম বাতাসের প্রভাবে আগামী দু-তিনদিন অন্তত ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। সমতলেও তাপমাত্রা নামার ইঙ্গিত আবহাওয়াবিদদের। মধ্য ভারতের কিছু রাজ্যে দু থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে। তবে পূর্ব ভারতে একইরকম পরিস্থিতি বজায় থাকবে আগামী তিনদিন। তারপর থেকে তাপমাত্রা ক্রমশ নামতে পারে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা দিল্লি-সহ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে। মঙ্গল ও বুধবার দিল্লিতে চরম শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ ইতিমধ্যেই রয়েছে হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানে। ৫ জানুয়ারি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা।