নব্যেন্দু হাজরা: মকর সংক্রান্তি কেটেছে সবেমাত্র। আর তারই মাঝে শীত (Winter) বলে পালাই পালাই। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার থেকেই বাড়বে রাজ্যের তাপমাত্রা। যা শুনেই মনখারাপ শীতবিলাসীদের।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার সকালেও কলকাতায় সামান্য কুয়াশা ছিল। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৮ শতাংশ। তবে জেলার বাসিন্দা এখনও শীতে জবুথবু। জেলায় তাপমাত্রার পারদ এখনও মোটামুটি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেই রয়েছে। পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলের তাপমাত্রা ১০.৩ এবং পানাগরে ১০.১ ডিগ্রি তাপমাত্রা। কৃষ্ণনগর এবং বীরভূমের শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
[আরও পড়ুন: নিয়োগে দুর্নীতি হলে হস্তক্ষেপ করবে হাই কোর্ট, প্রাথমিক টেট মামলায় মন্তব্য বিচারপতির]
নতুন বছর শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলায় উধাও হয়ে গিয়েছিল শীত। পৌষেও গ্রীষ্মের আমেজ উপভোগ করতে পারছিলেন রাজ্যবাসী। গরম জামাকাপড়, কম্বল দেখেই ঘামে ভিজছিল শরীর। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মতো মকর সংক্রান্তির আগে পারদ পতন হয়। কিন্তু দুঃসবাদ একটাই। শীত দীর্ঘস্থায়ী হল না। বলা যেতে চলতি মরশুমের মতো ব্যাটিং শেষ শীতের। কারণ, সোমবার থেকে ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। মঙ্গল ও বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। যা শুনেই মনখারাপ শীতবিলাসীদের।
তবে উত্তর পশ্চিম ভারতে শৈত্যপ্রবাহ জারি থাকবে। তার প্রভাবে বিহার সংলগ্ন জেলাগুলিতে দিনের বেলাতেও শীত থাকবে জাঁকিয়ে। ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কুয়াশার সর্তকতা। আগামী কয়েকদিন রাজধানী দিল্লি-সহ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে ঘন কুয়াশার সর্তকতা জারি রয়েছে।