সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিডনির (Sydney) গির্জায় বিশপকে কোপানোর অভিযোগে ৫ নাবালকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল পুলিশ। সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের সকলের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। তাদের জামিনের আবেদন আদালতে খারিজ হয়েছে বলেই খবর। তবে আক্রান্ত বিশপ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সকলকেই ক্ষমা করেছেন তিনি। কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি জেহাদি হামলা চালাতে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠছে যুব প্রজন্ম?
গত ১৫ এপ্রিল ভয়াবহ হামলা হয় সিডনির একটি গির্জায়। ঘটনার দিন বিকেলে গুড শেফার্ড গির্জায় প্রার্থনা চলছিল। আচমকাই তখন ছুরি হাতে ঢুকে পড়ে এক কিশোর। সামনে যাকে পায় এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিশপ মার মারি ইমানুয়েল। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ছুরির আঘাতে জখম হন আরও কয়েকজন। কিন্তু হামলা চালিয়ে পালাতে পারেনি সেই কিশোর। ঘটনাস্থল থেকেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কেন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ? মার্কিন পড়ুয়া বললেন, ‘তা জানি না’]
তবে হামলার নেপথ্যে অন্যদের ভূমিকা থাকতে পারে বলেই অনুমান ছিল পুলিশের। সেই জন্য গোটা সিডনিজুড়ে শুরু হয় চিরুনিতল্লাশি। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসদমন বিভাগ ও গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে এই তল্লাশি করে। যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয় ৭ নাবালক। তাদের জামিনের আবেদনও গ্রাহ্য হয়নি। পরে তার মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে পুলিশ। সন্ত্রাস ছড়ানো থেকে শুরু করে হিংসা ছড়ানো, একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে ৫ নাবালকের বিরুদ্ধে।
তবে হামলাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বিশপ মার মারি। একটি ইউটিউব বার্তায় তিনি বলেন, "আমার উপর যে হামলা করেছে তাকে ক্ষমা করলাম। ওকে এটাই বলতে চাই, তুমি আমার ছেলের মতো। তোমাকে ভালোবাসি, সবসময় তোমার জন্য প্রার্থনা করব।" হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরও ক্ষমা করেছেন বলে জানান বিশপ। তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় কী করে বাড়ছে জেহাদি কার্যকলাপ? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে জেহাদি ভিডিও। সেই দেখে প্রভাবিত হচ্ছে যুবসমাজ। সেখান থেকেই হামলা চালাতে নেমে পড়ছে নাবালকরা।