সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বরাবরই গা বাঁচিয়ে চলছে পাকিস্তান। যতবারই ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিণ্ডির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ততবারই তা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে তো কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তাঁদের, বরং হাফিজ সইদ, দাউদ ইব্রাহিমদের সযত্নে লালনপালন করে আসছে তারা। তবে এখনও আশার সমস্ত আলো ফুরিয়ে যায়নি। ভারত ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বদলাচ্ছে পাক সমাজের একাংশের মানসিকতা। যার প্রমাণ পাওয়া গেল কয়েকজন পাক সেনা অফিসারের বক্তব্যে। ভারতকে নয়, সন্ত্রাসবাদকেই তাঁদের মূল বিপদ হিসাবে মনে করছেন তিনি।
[নির্বাচন শেষ হতেই জামিন পেলেন নওয়াজ শরিফ, শাস্তির মেয়াদে স্থগিতাদেশ]
ভারতই তাঁদের একমাত্র শত্রু। পাক নাগরিক ও সেনার একটা বড় অংশের মধ্যে এই ধারনা বিদ্যমান। তবে পাকিস্তানের ফাটা এলাকার কর্মরত সেনা অফিসাররা যা বললেন তাতে একটা কথা স্পষ্ট যে, পরিবর্তন আসন্ন। নির্দ্বিধায় তাঁরা জানালেন, ‘ভারত নয়, সন্ত্রাসবাদই আমাদের আসল বিপদ।’ জানা গিয়েছে, তাঁদের কর্মজীবনের অনেকটা অংশ এই সেনা অফিসাররা কাটিয়েছেন জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করে। নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাঁরা। বলেন, চোখের সামনে কাছের বন্ধু ও সহকর্মীদের জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যেতে দেখেছেন। এমনকি বাদ যায়নি সেনায় কর্মরত কারও ভাই বা দাদা। নাশকতার মুখে পড়ে তাঁদেরও খোয়াতে হয়েছে প্রাণ। জঙ্গিদের গুলির অকালমৃত্যু নেমে এসেছে তাঁদের জীবনে। সেই স্বজনহারার যন্ত্রণা এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সেনা অফিসারদের পরিবারকে। ফলে সন্ত্রাসবাদের ভয়ঙ্কর রূপ তাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন বলে জানান ওই পাক সেনা অফিসাররা। তাই ভারত নয়, সন্ত্রাসবাদকেই তাঁদের নিকট শত্রু হিসাবে গণ্য করছেন তাঁর
[‘ট্রাম্পের পুরুষাঙ্গটি ঠিক যেন ব্যাঙের ছাতা’, এ কী বললেন পর্নস্টার!]
কেবল সন্ত্রাসবাদই নয় আরও একটা বিষয়ে রাওয়ালপিণ্ডির সমালোচনা করেছেন ওই সেনা অফিসাররা। তাঁদের অভিযোগ, সর্বদাই সেনার মধ্যেও ধর্মকে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার প্রভাব অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তাঁদের মতে, ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। সেনার মধ্যে সেই বিষয়কে ঢোকানো একদমই উচিত নয়। তাঁদের অভিযোগ, সুপরিকল্পিত ভাবে রাওয়ালপিণ্ডির একটা অংশ সেনার মধ্যে ধর্মকে ঢুকিয়ে চলেছে।
The post ‘ভারত নয়, সন্ত্রাসবাদই বড় বিপদ’, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি পাক সেনাকর্তাদের appeared first on Sangbad Pratidin.