সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় হামলার চালানোর পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদকে। পাকিস্তানের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও রাষ্ট্রসংঘের চাপে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণাও করা হয়। এর পাশাপাশি ভারতীয় বিমান হানায় ধ্বংস হয় পাক অধিকৃত বালাকোটে থাকা জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির। এর ফলে হাল খারাপ হয় এই জঙ্গি সংগঠনের। ভারতের লাগাতার প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মাথা ঝুঁকিয়ে মাসুদ আজহারকে কিছুদিনের জন্য গ্রেপ্তার করেও ইমরানের প্রশাসন। তবে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর তাকে ছেড়েও দেয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল, ভূস্বর্গে অশান্তি সৃষ্টির শর্তেই তাকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। আর সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে মাসুদ। এমনকী সংগঠনের নাম বদলে ‘মজলিস উরাসা-ই-শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’ রেখেছে। সেই সঙ্গে ভারতে হামলা চালানোর জন্য ৩০ জন আত্মঘাতী জঙ্গিকে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে।
[আরও পড়ুন: আল কায়দা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাক সেনা, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ইমরানের]
জানা গিয়েছে, সংগঠনের নাম বদলানোর পাশাপাশি নেতাও বদলেছে জইশ। মাসুদ অসুস্থ অবস্থায় পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরে মারকাজ উসমান-ও-আলি হাসপাতালে ভরতি আছে। তাই নতুন সংগঠনকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তার ভাই মুফতি আবদুল রউফ আসগার। আর কাশ্মীরে খতম হওয়া জঙ্গিদের স্মৃতি মনে করাতেই নতুন সংগঠনের নাম ‘মজলিস উরাসা-ই-শুহুদা জম্মু ওয়া কাশ্মীর’ রেখেছে। যাতে কাশ্মীরিদের আবেগকে কাজে লাগানো যায়। পুরো বিষয়টির পিছনে রয়েছে ইমরান প্রশাসন, পাকিস্তানি সেনা ও আইএসআই।
পাকিস্তানের উপর নজরদারি চালানো সংস্থাগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছে। তারপরই পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে ইমরান প্রশাসন। এই সুযোগে জম্মু ও কাশ্মীরে থাকা ভারতীয় সেনা ক্যাম্প ও কনভয়ের উপর হামলা চালানোর ছক কষছে মাসুদের ভাই রউফ আসগার। এর জন্য এমাসে বালাকোটে ভারতীয় বিমান হানায় ধ্বংস হওয়া মারকাজ সৈয়দ আহমেদ শহিদ ট্রেনিং ক্যাম্প ফের গড়ে তুলেছে সে। পাশাপাশি ভাওয়ালপুর ও শিয়ালকোটে থাকা জঙ্গিদের ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালানোর জন্য অনুপ্রাণিত করছে।