সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে তত বেশি কোণঠাসা হয়ে পড়ছে পাকিস্তান (Pakistan)। এমনকী, ‘বন্ধু’ চিনও কার্যত মুখ ফিরিয়েছে। FATF (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স)-এর ধূসর তালিকা থেকে তারা বেরতে পারবে কিনা সেই নিয়েও উত্তেজনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের উপর থেকে চাপ কমাতে এবার ভারতের দিকে পালটা চাপ তৈরি করার খেলা শুরু করল ইসলামাবাদ। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তথা আরএসএসকে (RSS) ‘হিংসাত্মক চরমপন্থী দল’ বলে আক্রমণ করল তারা। দাবি তুলল নিষিদ্ধ করার।
জাতীয়তাবাদী দলগুলিকে কী করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রম। সেই সময়ই তিনি আরএসএসকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। দাবি করেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক আরএসএস। তাঁর কথায়, ”এই ধরনের হিংসাত্মক মৌলবাদী এবং চরমপন্থী সন্ত্রাসবাদ থেকেই পালটা হিংসার জন্ম হয়। যা আইসিস কিংবা আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনকেই প্রশ্রয় দেয়।”
[আরও পড়ুন: গণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় খলিস্তানি পতাকা ওড়ানোর টোপ! কৃষকদের উসকানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের]
এখানেই শেষ নয়। তিনি সরাসরি নিশানা করেন বিজেপিকেও। দাবি করেন, গেরুয়া শিবিরের ‘হিন্দুত্ববাদী আদর্শ’ ভারতের মুসলিমদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনই কেবল নয়, শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনগুলিকেও নিষিদ্ধ করতে পারলেই বিশ্বজুড়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা মৌলবাদকে রোখা যাবে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর এই ধরনের কথা থেকেই পরিষ্কার, এভাবেই কার্যত নিজেদের দিকে ওঠা আঙুলের জবাব দিতে স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে পাকিস্তান।
ধূসর তালিকার ছায়া থেকে বেরতে হলে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিতেই হবে, সেটা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে ইসলামাবাদ। তাই FATF-এর আগামী বৈঠকের আগে নিজেদের ভাবমূর্তি শোধরাতে মরিয়া ইমরান সরকার। ইতিমধ্যেই সাজা শোনানো হয়েছে লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার জাকিউর রহমান লাকভিকে (Zakiur Rehman Lakhvi)। আরেক কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করল পালটা চাপের খেলাও।