সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের ভূমিকম্পের রেশ এখনও বজায় রয়েছে। পরপর দু'টি জোরালো কম্পনে ভয়াবহ পরিস্থিতি ভারতের প্রতিবেশী দেশটিতে। এরই মধ্যে ফের কাঁপল ভারতের আরেক পড়শি দেশ আফগানিস্তান। বুধবার কাকভোরের সেই কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৬। সেই কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি থেকেও।

জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের উৎস ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২১ কিমি গভীরে। পূর্ব বাঘলান থেকে উৎসস্থলের দূরত্ব ১৬৪ কিমি। ওই শহরের জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার। প্রাথমিক ভাবে ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোগ্রাফিক্যাল সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছিল কম্পনের মাত্রা ৬.৪। পরে দক্ষিণ ফিলিপিন্সে ভূমিকম্পের কথা জানায় ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। তবে কম্পনে কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল মায়ানমার। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত গুঁড়িয়ে যায় একের পর এক বহুতল, ব্রিজ। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সেদেশের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়ে মায়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এখনও পর্যন্ত মায়ানমারে মৃত্যু হয়েছে ৩১০০ মানুষের। ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কাঁপে সেই দেশ।
মায়ানমারে পর পর এই ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ফাটলের কাছে অবস্থিত মায়ানমার। এই ভারতীয় প্লেট প্রতিবছর ৫ সেন্টিমিটার হারে ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়াও এই অংশে রয়েছে বেশকিছু ফল্ট জোন। ‘সাংহাই ফল্ট’ এর মধ্যে অন্যতম। সার্বিক ভাবে এই নিয়ে চাঞ্চল্যের মধ্যেই এবার কম্পন আফগানিস্তানে।