সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) প্রধান বিরোধী অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny) ঘনিষ্ঠ নেত্রীকে আগেই জঙ্গি হিসাবে দাগিয়ে দিয়েছিল রুশ প্রশাসন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল। সেনিয়া ফাদেইভা নামে ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠন তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২২ সালে ফাদেইভাকে জঙ্গি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকেই বন্দি রয়েছেন এই নেত্রী। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পুতিন বিরোধী নাভালনিকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রাশিয়ার (Russia) রাজনীতিতে বেশ পরিচিত নাম ৩১ বছরের সেনিয়া ফাদেইভা। দীর্ঘদিন ধরে নাভালনির দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০২০ সালে টমস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। মিউনিসিপ্যালিটির প্রধান হিসাবেও নির্বাচিত হন তিনি। সেনিয়া ছাড়াও নাভালনিপন্থী নির্দল প্রার্থীরা ব্যাপক সাফল্য পান। তাঁদের সাফল্যে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভ্লাদিমির পুতিনের দল। দেশের সংসদীয় নির্বাচনের আগেই নাভালনির এই সাফল্য পুতিনের রক্তচাপ বাড়িয়েছিল।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি কমলেও নয়া সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কাবাসী, সরকারকে সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের]
স্থানীয় নির্বাচনের একবছর পরেই ধরপাকড় শুরু হয় নাভালনির নানা দপ্তরে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ঘোষণা করা হয়, নাভালনির সমস্ত অফিসকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে আখ্যা দেওয়া হবে। সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত সদস্যদের সকলকেই জঙ্গি তালিকাভুক্ত করা হয়। রাশিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, জঙ্গি তালিকাভুক্ত হলেই অন্তত ১২ বছরের কারাদণ্ড মিলবে। এই সাজার ভয়ে নাভালনি ঘনিষ্ঠদের অনেকেই রাশিয়া ছেড়ে পালান। তবে দেশ ছাড়তে চাননি ফাদেইভা। ডিসেম্বর মাসেই আটক করা হয় তাঁকে। আগেই জঙ্গি তকমা ছিল তাঁর নামের সঙ্গে। এবার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তৈরির অভিযোগে বিচার শুরু হল তাঁর বিরুদ্ধে।