সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে এক লস্কর (Lashkar-E-Taiba) জঙ্গি। পালটা গুলিতে জখম হওয়ার পরে মৃত্যু হয়েছে ওই জঙ্গির। পাক ড্রোনের মাধ্যমে কাশ্মীর সীমান্তে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে, এই খবর আসে পুলিশের কাছে। সেই অস্ত্র উদ্ধার করার জন্যই ওই জঙ্গিকে নিয়ে যায় পুলিশ। টোফ গ্রামের কাছে অস্ত্র উদ্ধারের সময়ই গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে।
জম্মু (Jammu Kashmir) সীমান্তে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পাচার করা হবে, সেই খবর আসে পুলিশের কাছে। আগে থেকেই পুলিশি হেফাজতে থাকা লস্কর জঙ্গি মহম্মদ আলি হুসেনকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যায় পুলিশ। ওই জায়গা থেকেই মাটিতে পুঁতে রাখা অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু পাক ড্রোনকে ধরা সম্ভব হয়নি। লুকিয়ে রাখা অস্ত্র খুঁজতে সাহায্য করে ওই জঙ্গি, এমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
[আরও পড়ুন: ফের ২৬/১১ হামলার ছক? সমুদ্রে অস্ত্রবোঝাই নৌকো ঘিরে চাঞ্চল্য মহারাষ্ট্রে]
একটি একে-৪৭ রাইফেল, দু’টি পিস্তল, গ্রেনেড-সহ বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তারপরেই পুলিশের (Kashmir Police) থেকে রাইফেল কেড়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে মহম্মদ। পালানোর চেষ্টাও করে ওই জঙ্গি। পালটা গুলি চালায় পুলিশও। গুরুতর ভাবে আহত হয় মহম্মদ। জখম হন এক পুলিশকর্মীও। দু’জনকেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় মহম্মদের।
কাশ্মীর পুলিশের এডিজিপি মুকেশ সিং জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট জায়গায় পাক ড্রোন মারফত অস্ত্র আসার খবর পেয়েই লস্কর জঙ্গিকে নিয়ে ওই স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। সেখানে মাটির নীচে পুঁতে রাখা অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই আচমকা গুলি চালায় ওই জঙ্গি। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। গুরুতর আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয় মহম্মদের।