সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুয়ারে কড়া নাড়ছে সকল বিপদ থেকে রক্ষাকারী মা দুর্গার আগমনী বার্তা। শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই নয়, বাংলাদেশের (Bangladesh) সকল ধর্মের মানুষ দেবীকে স্বাগত স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। অপরদিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা উড়িয়ে পুজোর আনন্দ ম্লান করার ষড়যন্ত্র আঁটছে জঙ্গিরা (Terrorists)। যা আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল। দিনে না হলেও রাতে পুজোমণ্ডপে হামলা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এমনই তথ্য হাতে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশের। তারপরই তাঁরা নিরাপত্তায় আরও জোর দিয়েছে।
পুলিশের পাওয়া তথ্য় অনুযায়ী, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে রীতিমতো রেইকি করছে জঙ্গিদল। যখন পুলিশ ও লোকজন কম থাকে, তখনই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছে। তবে তাদের রুখতে সবরকমভাবে প্রস্তুত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ‘আমরা অ্যালার্ট আছি।’ রবিবার রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয় পুজোমণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
[আরও পড়ুন: পাত্রী চাই! ডিভোর্স নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই ফেসবুকে লিখলেন নোবেল]
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘‘শারদীয় পুজো কেন্দ্র করে তেমন ঝুঁকি দেখছি না। তবে আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছি না। জঙ্গিরা এখন অনলাইনে সক্রিয়। তারা নানা ধরনের পোস্ট দিচ্ছে। তারা সেলফ রেডিকালাইজড হয়ে (লোন উলফ) হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে, অন্যকে উদ্বুদ্ধ করছে। আমরা মন্দিরগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। এ ছাড়া ঢাকা শহরের বড় মন্দিরগুলোতে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম করা হবে। ছোট মন্দিরগুলোতে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে। প্রতিটি মণ্ডপের আশপাশের সাদা পোশাকের কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) ও র্যাব সমন্বিতভাবে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলবে। সবার প্রতি আমার অনুরোধ, এ উৎসবে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা যাবে না।” যাঁরা বয়স্ক এবং টিকা নেননি, তাঁদের পুজোমণ্ডপে না আসার অনুরোধই করেছেন তিনি। শফিকুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিরা দুর্গাপুজো উৎসবকে কেন্দ্র করেই নাশকতায় সক্রিয় হতে চাইছে।