সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) লুকআউট নোটিসের পর এবার চাপ আরও বাড়ল পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya)। বিধায়ক হিসেবেও এবার নিরাপত্তা খোয়াতে চলেছেন তিনি। নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল (TMC)বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আর রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা তিনি পাবেন না। তবে কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (TET) মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছিল ইডি। তিনি মাত্র একবার হাজিরা দেন। তাঁর এবং পরিবারের সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইডির সেই তলবে গুরুত্ব দেননি। তাঁর সঙ্গে ফোনেও কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতেই লুকআউট নোটিস (Lookout Notice) জারি করে। তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এই আশঙ্কা করে তাঁকে রোখার জন্য দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে সেই নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: অসমে জাল ছড়াচ্ছে আল কায়দা, একই দিনে গ্রেপ্তার ৩৪ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন জঙ্গি]
সিবিআইয়েরর এই পদক্ষেপের ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। প্রসঙ্গত, কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠায় পর্ষদ সভাপতির পদ খোয়ানোর পরই পলাশিপাড়া থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করে মানিকবাবু আপাতত সেখানকার বিধায়ক। নিয়ম অনুযায়ী, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি রাজ্য সরকারের তরফে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা পেতেন এতদিন। কিন্তু এবার প্রায় ৭ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এবং এহেন কেলেঙ্কারিতে বারবার নাম জড়ানোয় শাসকদল আর দায় নিতে চাইছে না। তাই সরকারিভাবে তাঁর সুরক্ষা (Security) তুলে নেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডল নয়, পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা এলাকার সংগঠনের ভার স্থানীয় নেতৃত্বেরই]
যদিও সিবিআই বা ইডি তদন্তকারীদের তলবে সাড়া না দিলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে তাঁর দাবি, কোথাও যাননি, যাদবপুরের বাড়িতে রয়েছেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করছেন।