সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার মার্কিন কারাগারে বন্দি পাকিস্তানি জঙ্গি আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে টেক্সাসের ইহুদি উপাসনালয়ে হামলা চালিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। একাধিক ব্যক্তিকে পণবন্দি করে রাখে সে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত মালিক ফয়জল আক্রম (Malik Faisal Akram) নামের ওই দুষ্কৃতী আদতে পাক পাঞ্জাবের ঝিলাম জেলার বাসিন্দা, জানিয়েছে এফবিআই (FBI)।
ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৫০ বছর আগে ইংল্যান্ডে চলে আসে মালিকের পরিবার। নিজেকে ফয়জল সিদ্দিকি বলে পরিচয় দিত সে। আক্রম আদতেই পাক জঙ্গি তথা স্নায়ুবিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকির ভাই।
[আরও পড়ুন: পাক-জেহাদির মুক্তির দাবি, আমেরিকায় ইহুদি উপসনালয়ে বহু মানুষকে পণবন্দি করল বন্দুকবাজ]
উল্লেখ্য, আফিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক কর্তাদের খুনের চেষ্টা করেছেন। ২০১০ সালে আফিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি টেক্সাসের ফেডারেল কারাগারে বন্দি রয়েছেন। শনিবার একাধিক মার্কিন নাগরিককে পণবন্দি করে আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তির জন্য দর কষাকষি শুরু করেছিল আক্রম।
এদিকে খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সোয়াট বাহিনী। হামলাকারীর কাছে বন্দুক এবং বোমা রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর পরই তার সঙ্গে দর কষাকষি শুরু হয়। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ প্রথমে এক বন্দিকে রেহাই দেয় সে। ৮ ঘণ্টা পর সকলকেই মুক্তি দেয়। ওই সময় মার্কিন সোয়াট বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আক্রমের।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে বড় সাফল্য যৌথবাহিনীর, নিকেশ আল বদর গোষ্ঠীর ২ সন্ত্রাসবাদী]
এদিন এফবিআই জানিয়েছে, আক্রম তবলিঘি জামাতের সদস্য। আক্রমের স্ত্রী এক গুজরাতি মুসলিম মহিলা। তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে। যদিও স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল না। আক্রমের বাবা লন্ডনের মুসলিম কমিউনিটির সদস্য। এদিকে রবিবার ইংল্যান্ডের ব্ল্যাকবার্ন থেকে দুই নাবালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা আক্রমের দুই ছেলে বলে মনে করা হচ্ছে।