সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজতন্ত্রের অবসান ও বর্তমান সরকারকে অপসারণের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড (Thailand) । এর জেরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেদেশের সরকার। অন্যদিকে গন্ডগোল বাঁধানোর অভিযোগে বিক্ষোভকারীদের শীর্ষ নেতানেত্রীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন মাস ধরে থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালাংকর্ণ ও বর্তমান সরকারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পড়ুয়াদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ আস্তে আস্তে গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। এর ফলে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে থাইল্যান্ডের প্রশাসন। কড়া হাতে এই আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। গতকাল বুধবারও ব্যাংককে (Bangkok) প্রবল বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। এরপরই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা (emergency) জারি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয় প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র রাশিয়ার! অদূর ভবিষ্যতেই ছাড়পত্র তৃতীয়টিতেও, ঘোষণা পুতিনের ]
এসম্পর্কে থাইল্যান্ডের সরকারি টেলিভিশনে পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই সময় কোথাও বড় কোনও জমায়েত করা যাবে না। এমনকী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এই রকম কোনও খবর বা তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।
থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালাংকর্ণ ২০১৬ সাল থেকে দেশের ক্ষমতায় আসীন থাকলেও বেশিরভাগ সময় কাটানো জার্মানিতে। সেখানে কাটানোর তাঁর বিলাসিতার ছবি থাইল্যান্ডের মানুষের ক্ষোভ বাড়িয়ে ছিল। মাস তিনেক আগে পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানের সময় রাজ পরিবারের এক সদস্যের গাড়িকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এর পর থেকেই রাজার ক্ষমতা কমানো ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। যা আজ গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। বুধবার ব্যাংককে আন্দোলন চলার সময় দেশে ফিরে রাজদম্পতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে পড়েন তারা। এর ফলে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে জরুরি অবস্থা জারি করতে হল থাইল্যান্ডের সরকারকে।