অর্ণব আইচ: বেজিং অলিম্পিকে এঁদের সঙ্গীত শুনেছিল সারা বিশ্ব। এর পর কেটে গিয়েছে দশ বছর। এবার তাঁদের সংগীত শুনল কলকাতা। চিনের ৬৯তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহরের একটি নামী হোটেলে সংগীত শোনাল ‘চায়না ইমপ্রেশন’। মিউ, ফেং, কুই ও সুই এই চার শিল্পীই এই চিনা অর্কেস্ট্রার সদস্য। তাঁদের মধ্যে কেউ বাজান চিনা বাদ্য ‘পিপা’, কেউ বাজান ‘লিউকিন’ ও কেউ ‘শেং’। কখনও তাঁদের সুরে ফুটে উঠল চিনা লোকসংগীত। আবার কখনও হিন্দি গানের সুরেও বেজে উঠল তাঁদের বাদ্যযন্ত্র। একই সঙ্গে ‘পিপা’ বাজিয়ে চিনা সংগীত শোনালেন ইয়াং লি, যিনি কলকাতার চিনা কনসাল জেনারেল মা ঝানোউয়ের স্ত্রী।
[শোধনাগারে সংস্কারের জের, উত্তর ও মধ্য কলকাতায় বন্ধ জল সরবরাহ]
২০০৮ সালে ২৯তম বেজিং অলিম্পিকে সংগীত শোনানোর পর সারা বিশ্বজুড়ে একের পর এক অনুষ্ঠান করে ‘চায়না ইমপ্রেশন’। চিনেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহু অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন এই অর্কেস্ট্রার শিল্পীরা। এবার কলকাতা চিনা দূতাবাসের আমন্ত্রণে তাঁরা সংগীত উপহার দিলেন কলকাতাবাসীকে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে চিনা কনসাল জেনারেল মা ঝানোউ জানান, চিন ও ভারতের সম্পর্ক বিভিন্ন দিক থেকে আরও ভাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পূর্ব ভারতে এই সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য কলকাতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, কলকাতা থেকে চিনের কুনমিং পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালাতে চায় চিন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও ভাল হবে বলে আশাপ্রকাশ করছে চিনা দূতাবাস৷
[বাগরি চত্বরে দেদার চলছে ফেলো কড়ি, নাও ‘স্পেস’!]
The post চিনা বাদ্যযন্ত্রে হিন্দি গানের সুর, বেজিং অলিম্পিকের শিল্পীরা মাতালেন শহর appeared first on Sangbad Pratidin.