সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুদূর ফিনল্যান্ড থেকে বলগা হরিণে টানা গাড়িতে ঝোলাভরতি উপহার নিয়ে বিশ্বের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান সান্তা ক্লজ। বছরের এই একটি সময়েই তাঁর বিশ্বভ্রমণ। সেইসঙ্গে ছোটদের পছন্দমতো উপহার দেওয়া। তাতেই বিখ্যাত লাল আলখাল্লা, সাদা চুলদাড়ির এই বুড়ো।
তবে সান্তা নামক সদাহাস্যময়, বন্ধুবৎসল ব্যক্তিত্বের আড়ালে ছোটদের ক্রিসমাসের উপহার কিন্তু দেন তাদের প্রিয়জনেরাই। বড়দিনের সকালে যা হাতে পেয়ে হাসি ফুটে উঠে তাদের মুখে। তেমনই এক খুদের হাসি আপাতত নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সবচেয়ে সাধারণ একটা উপহার পেয়ে সবচেয়ে আনন্দময় প্রতিক্রিয়া তার।
[আরও পড়ুন: অ্যালেক্সার সাহায্য নিয়ে ক্রেডিট কার্ডে ৫০ হাজার টাকার খেলনা কিনল খুদেরা! ভাইরাল ভিডিও]
ক্রিসমাসের এখনও দিন দুই বাকি। এবছর একটু আগে আগেই মা,বাবার কাছ থেকে উপহার পেয়ে গিয়েছে ছোট্ট মেয়েটি। টুইটারে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে লেখা – ‘ক্রিসমাসের সবচেয়ে খারাপ উপহার।’ কেন? ভিডিওটি দেখলেই তার উত্তর পাওয়া যায়। হাতে পাওয়া রঙিন মোড়কটি খুলে মেয়েটি দেখে, তাতে একটি কলা! প্রথমে সে একটু চেঁচিয়ে উঠে বলে – কলা! কিন্তু তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়াই সবচেয়ে সুন্দর, যা মন ছুঁয়ে গিয়েছে সকলের। মেয়েটি এরপর খিলখিলিয়ে হেসে উঠে বলে – ‘আমি খুব খুশি।’ সেই নির্মল হাসি দেখেই বোঝা যায়, এমন সাধারণ একটা উপহারও তাকে কত খুশি করে তুলেছে। মা, বাবার উপহার বলে কথা, দামি না হোক, বড় আদরের। তাই মেয়ে খুশি না হয়ে যায় কোথায়?
[আরও পড়ুন: মাকে চোখে হারায় খুদে, সন্তানকে ভোলাতে নিজের কাট আউটে বাড়ি ভরালেন তন্বী]
আজকের প্রজন্মের ছোটদের বায়নাক্কার শেষ নেই। হাতের কাছে তার মনমতো জিনিসটি না পেলে কান্নাকাটি, মনখারাপ – এসব লেগেই থাকে। কিন্তু তাদের সবার থেকে আলাদা এই মেয়ে। এই কম বয়সেই সে উপহারের গুরুত্ব সম্যক উপলব্ধি করেছে। বুঝেছে, উপহার মানে ভালবেসে, আন্তরিকভাবে দেওয়া জিনিস। যার বিচার মূল্য দিয়ে হয় না। তাই তো মা,বাবার দেওয়া একটি সাধারণ কলাই তার কাছে হয়ে ওঠে খুশির উৎস। আর মেয়ের এই অকৃত্রিম আনন্দে মাখা মুখটি দেখে মা, বাবা যে শান্তি পান, সেই অনুভূতিই পৃথিবীতে সেরা। এই ভিডিও আরও অনেককেই আনন্দ এনে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিটুইট, শেয়ারের বন্যা। বড়দিনে এর চেয়ে সুন্দর উপহার আর কীই বা হতে পারে?
The post ক্রিসমাসে অতি সাধারণ উপহার পেয়েই আনন্দে মশগুল মেয়ে, ভাইরাল তার হাসি appeared first on Sangbad Pratidin.