সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুনের হুমকি পেলেন বলিউডের ভাইজান। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যামামলার শুনানির ঠিক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দেওয়ার হয় তাঁকে। গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ওই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘আপনি ধর্মান্ধ, আপনার ধর্ম বাম-বাদ’, উর্মিমালা বসুকে তোপ বাবুলের]
প্রায় বছর কুড়ি আগেকার ঘটনা। অক্টোবর, ১৯৯৮। যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলছিল। শুটিং চলাকালীনই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সলমন নিজে গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন। তখনই তিনি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ হরিণকে সন্তানস্নেহে পালন করেন এবং রক্ষাও করেন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ ও সোনালি বেন্দ্রে। গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সলমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়। মামলায় একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হন সলমন খান।
[আরও পড়ুন: ‘বিগ বস’-এর প্রচারে গিয়ে রানাঘাটের রানুকে পরামর্শ দিলেন সলমন!]
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার শুনানি। তার আগেই ফেসবুকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় সলমন খানকে। গ্যারি শুটার নামের এক ব্যক্তি একটি ফেসবুক পেজে সলমনকে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টটি করে। পরে এই হুমকি বার্তা আবার হিন্দি ভাষায় ‘সোপু’ নামে একটি গ্রুপের তরফে পোস্ট করা হয়। তাদের বক্তব্য, সলমন ভারতীয় আইনবিধি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আইন থেকে তার মুক্তি নেই।
[আরও পড়ুন: ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার পাচ্ছেন অমিতাভ, ঘোষণা কেন্দ্রের]
সলমন হুমকি পাওয়ার পর থেকে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যোধপুরের ডিসিপি ইস্ট ধর্মেন্দ্র সিং যাদব বলছেন, “এই হুমকির পর আমরা আঁটসাঁট নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছি। সোশ্যাল মিডিয়া সেলের মাধ্যমে ঘটনার তদন্তও শুরু করেছি।”
The post সোশ্যাল মিডিয়ায় সলমনকে খুনের হুমকি, নিরাপত্তায় বিশেষ নজর appeared first on Sangbad Pratidin.