নব্যেন্দু হাজরা: অবশেষে কাজে দিল রাজ্যবাসীর প্রার্থনা। মহাসপ্তমীতেই কাটতে চলেছে দুর্যোগের ভ্রুকুটি, এমনটাই জানাল হাওয়া অফিস (Regional Meteorological Centre, Kolkata)। জানা গিয়েছে, বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই বাংলার উপকূল ছে়ড়ে সরছে বাংলাদেশের দিকে। ফলে এর প্রভাব বঙ্গে না পড়ার সম্ভাবনাই প্রবল। হালকা বৃষ্টি হলেও ভারী বৃষ্টি হবে না। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে ফের হাসি ফিরেছে আমজনতার মুখে। তবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও জারি নিষেধাজ্ঞা।
দিন কয়েক আগে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপের অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। পরে তা অভিমুখ পরিবর্তন করে। আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোতে থাকে। যত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি আসে ততই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। যার জেরে ষষ্ঠী, সপ্তমী ও অষ্টমীতে দুই বঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। সপ্তমীর দুপুরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনাও ছিল। সঙ্গে ঝোড়ো হওয়ার দাপটে মণ্ডপ লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কাও করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। তবে শুক্রবার দুপুরেই সুখবর দিল হাওয়া অফিস।
[আরও পড়ুন: দৈনিক করোনা সংক্রমণে রাজ্যে ফের রেকর্ড, মহাষষ্ঠীতেও আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা]
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে বাংলাদেশের দিকে সরতে শুরু করেছে নিম্নচাপ। ফলে এর প্রভাব পড়বে না বঙ্গে। হাওয়া অফিসের এই খবরে খুশি আমজনতা থেকে পুজো উদ্যোক্তা সকলেই। অসময়ে দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রমাদ গুণছিলেন ধানচাষিরা। ঝড়-বৃষ্টি হলে তাঁদের হওয়া ধানে মই দেওয়ার মতো অবস্থা হত, দুর্যোগ কাটার খবরে স্বস্তিতে তাঁরাও।