সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের সময় মেয়েদের পরিবারকে পণ দিতে হয় কেন? উত্তর, মেয়ে দেখতে খারাপ হলে মেয়ের পরিবারকে পণ দিতে হয়। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই লেখা মহারাষ্ট্র রাজ্য শিক্ষা পর্ষদের দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবইতে। প্রশ্ন ছিল বিয়ের সময় দুই পরিবারের মধ্যে পণপ্রথা কেন চালু রয়েছে?দেখা যায়, বইটিতে কারণগুলির যে তালিকা রয়েছে, সেখানেই ১২ নম্বরে লেখা, ‘যদি একটি মেয়ে কুৎসিত দেখতে হয় বা প্রতিবন্ধী হয়, তাহলে তার বিয়েতে অনেক সমস্যা হবে। যে বাড়িতে বিয়ে হওয়ার কথা সেই বাড়ির লোকেরা আরও বেশি টাকা পণ চায়।অসহায় মেয়ের পরিবারকে তখন সেই দাবি মেনে নিচে হয়।’ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বইটির ওই পাতার ছবিও প্রকাশ করেছে।
রাজধানীতে গণধর্ষণের শিকার যুবক, ছড়াল চাঞ্চল্য
সরকারি হিসেব অনুযায়ী ২০১২-২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতে পণপ্রথার বলি ২৫ হাজার। এর মধ্যে সবার ওপরে উত্তরপ্রদেশের নাম। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৭,০৪৮ জনের। শুধু মেয়েদের অপমান নয়, বইটিতে প্রতিবন্ধীদেরও অপমান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের পরিবারকে তাঁদের বিয়ের জন্য অধিক টাকা দিতে হয়। এছাড়া সমাজে ‘সম্মান’-এর খাতিরেও অনেকে পণ নেই।
রাজধানীতে গণধর্ষণের শিকার যুবক, ছড়াল চাঞ্চল্য
জানা গেছে ২০১৩ সালে সরকারি পাঠ্যবইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। রাজ্য শিক্ষা পর্ষদের প্রধানকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে তথ্য জানতে চেয়েছি। আমি এখন বাইরে রয়েছি। ফিরে এসে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসব। এর জন্য যে দায়ী থাকবে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
The post কেন মেয়ের বিয়েতে পণ দিতে হয়, শেখাচ্ছে পাঠ্যবই appeared first on Sangbad Pratidin.