যে কোনও দেশেরই জাতীয় পতাকা সে দেশের কাছে গর্বের বিষয়৷ যেমন আমাদের তেরঙ্গা লাখো সেনার কাছে রাতের পর রাত সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দেওয়ার অনুপ্রেরণা৷ প্রতিটি দেশের পতাকা সে দেশের উর্বর সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতিফলন| আবার শুধু সংস্কৃতিই নয়, জাতীয় পতাকার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বিজ্ঞানসম্মত কারণও৷ যেমন আমাদের দেশের পতাকায় উপস্থিত প্রতিটি রঙের পিছনেই কোনও না কোনও বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে৷
‘গজবপোস্ট’ নামের একটি ওয়েবসাইট পাকিস্তানের পতাকায় বড়সড় গলদ খুঁজে পেয়েছে৷ তাদের দাবি, পাক পতাকার নকশা এঁকেছিলেন আমিরুদ্দিন কিদওয়াই৷ ওয়েবসাইটটির দাবি, আমিরুদ্দিন সম্ভবত জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন না৷ অথবা জিন্না তাঁকে সেই সুযোগ দেননি৷ তাই পতাকায় এত বড় গলদ!
কী ভুল রয়েছে পাক পতাকায়???
খেয়াল করলে বুঝবেন, পাকিস্তানের পতাকায় যে তারাটি রয়েছে তার অবস্থানে ভুল রয়েছে৷ যে চাঁদটি পাক পতাকায় রয়েছে, সেটি আদতে গোটা চাঁদের দীপ্ত অংশটুকু মাত্র৷ সূর্যের আলো যখন পৃথিবীর উপর পড়ে, তখন তার ছায়া চাঁদের উপরে পড়ে বলে আমরা চাঁদকে আংশিকভাবে দেখতে পাই৷ বিজ্ঞান বলে, চাঁদের পিছনে কিছু থাকলে পৃথিবী থেকে তা দেখতে পাওয়া অসম্ভব৷ কিন্তু পাকিস্তানের পতাকায় তো চাঁদের পূর্ণাঙ্গ বৃত্তের মধ্যেই একটি তারার ছবি রয়েছে! আলোকবিজ্ঞান মানলে তো সেই তারাটি দেখতে পাওয়ার কথাই নয়৷
ওয়েবসাইটটির আরও দাবি, আমিরুদ্দিন যখন পাক পতাকা ডিজাইন করছিলেন, তখন তিনি পতাকার সবুজ রঙটি নিয়েছিলেন মোঘল সাম্রাজ্যের পতাকা থেকে৷ বাকি ডিজাইনটুকু অটোমান সাম্রাজ্য থেকে অনুপ্রাণিত৷ কিন্তু ঘটনা হল, অটোমান সাম্রাজ্যের পতাকার নকশা কিন্তু মোটেও অবৈজ্ঞানিক নয়৷ সঙ্গের ছবিটি তার প্রমাণ৷
মোদ্দা কথা, যাদের জাতীয় পতাকাও ঠিক করে বানানোর ক্ষমতা নেই, তাঁদের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে ঝগড়া করে কী লাভ?
The post পাক পতাকায় এমন গলদ ৬৯ বছরেও দেখল না কেউ! appeared first on Sangbad Pratidin.