সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূত নিয়ে আমাদের অনেকেরই একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে! তারা না কি পোড়ো বাড়ি বা গ্রাম, নিদেনপক্ষে কোনও সুনসান জায়গায় গাছে থাকে!
ধারণাটা যে খুব একটা সঠিক নয়, তা রাজশেখর বসু অনেক দিন আগে লিখে গিয়েছিলেন তাঁর একটা ছোটগল্পে। মানুষে যদিও তাঁকে চেনে পরশুরাম নামে!
তো, এই পরশুরাম তাঁর ‘মহেশের মহাযাত্রা’-য় লিখেছিলেন, কলকাতা শহরে এই যে ভিড়, তার সবটাই মানুষের নয়! ওই ভিড়ের মধ্যেই মানুষের বেশে ঘুরে বেড়ায় অশরীরীরা!
পরশুরামের এই কথা নেহাত গল্প বলে উড়িয়ে দেওয়াই যায়! তবে, কলকাতার ক্ষেত্রে!
রাজস্থানের জগৎপুরার ক্ষেত্রে কিন্তু নয়।
জগৎপুরার অবস্থান দিল্লি-জয়পুর সড়কের উপরে! মোটামুটি বর্ধিষ্ণু এক গ্রাম।
এই গ্রামের এমনিতে বিখ্যাত হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। সত্যি বলতে কী, বিখ্যাত এই গ্রাম নয়ও!
আদতে এই গ্রাম কুখ্যাত!
কেন না, রাত নামলে এই গ্রামের কেউ বাড়ির বাইরে এক পা-ও ফেলেন না!
কারণটা কিন্তু উড়ো কথা নয়, নির্যস সত্যি!
জগৎপুরার সবাই বলেন, রাত নামলেই না কি এই গ্রামের পথে পথে ঘুরে বেড়ায় অতৃপ্ত আত্মা আর ডাইনিরা। সাদা পোশাকে তারা পথে পথে শিকার খুঁজে ফেরে। একমাথা এলোমেলো চুল, তা পড়ে থাকে মুখের উপরে। কাছে গেলে দেখা যায়, তাদের চোখগুলো আগুনের মতো জ্বলছে!
আর, সেই চোখের দিকে তাকালেই সর্বনাশ! যে তাকিয়েছে, সে আর বেঁচে থাকেনি!
তবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এত তাকিয়ে দেখারও দরকার হয় না। জগৎপুরার মানুষ বলেন, রাতে গ্রামের পথে যদি কেউ অশরীরীর নজরে পড়ে, তাহলেই তার প্রাণহানি নিশ্চিত। তার শরীরের সমস্ত রক্ত শুষে নিয়ে অশরীরীরা উধাও হয়ে যায়! আর হতভাগ্যের দেহ পড়ে থাকে পথে।
আজ পর্যন্ত কখনই না কি এই নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি।
মুশকিল হল, এই সব খবরের কতটা সত্যি, তা হলফ করে বলা যায় না। তবে, পরীক্ষা করতে যাওয়ারই বা দরকার কী!
এতগুলো রাত এত আতঙ্ক নিয়ে জগৎপুরা তো আর এমনি-এমনি কাটায় না!
The post যে গ্রামে রাতের বেলা কেউ পথে বেরোন না! appeared first on Sangbad Pratidin.