সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ মানুষদের যুদ্ধে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস। এমন অভিযোগ প্রথম থেকেই করে আসছে ইজরায়েল। ইহুদি দেশটির সঙ্গে লড়াইয়ে পিঠ বাঁচাতে গাজা ভূখণ্ডের একাধিক হাসপাতাল ব্যবহার করছে জেহাদিরা। সেরকমই একটি হাসপাতাল র্যানটিসিতে রোগী ও গাজার সাধারণ মানুষ মিলিয়ে মোট ১০০০ জনকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা আহমেদ সিয়াম। এবার ইজরায়েলি সেনার আক্রমণে নিহত হল এই জেহাদি। এমনটাই দাবি ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসের।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে আইডিএফ (IDF) জানিয়েছে, ‘ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান হানায় মৃত্যু হয়েছে হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা আহমেদ সিয়ামের। র্যানটিসি হাসপাতালে রোগী ও গাজার সাধারণ মানুষ মিলিয়ে মোট ১০০০ জনকে বন্দি করে রেখেছিল আহমেদ সিয়াম। একই সঙ্গে উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াতেও সে বাধা সৃষ্টি করছিল। হামাসের কুখ্যাত নাসের রাডওয়ান কোম্পানির অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার ছিল সিয়াম। এই সিয়ামই উদাহরণ, কীভাবে এই জঙ্গিরা সাধারণ মানুষকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে।’ জানা গিয়েছে, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে হামলা চালানোর অন্যতম মাথা ছিল এই জেহাদি।
বলে রাখা ভালো, শুধু এই র্যানটিসি হাসপাতালই নয়। ইজরায়েলের (Israel) অভিযোগ, গাজার একাধিক হাসপাতালে নিজের ঘাঁটি গেড়েছে হামাস। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার পর থেকেই জঙ্গিদের মুছে ফেলার ডাক দিয়ে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। জেহাদিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে তাই গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় হামলা চালিয়েছে ইহুদি দেশটি। ইজরায়েলি সেনার লাগাতার আক্রমণে হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যেই আল শিফা হাসপাতালে তিন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যাটা দ্রুত বাড়বে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান টেড্রস ঘেব্রেয়াসুস। যদিও ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, ওই শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের হামলায় বন্ধ গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল, বাড়ছে প্রাণহানি, মৃত বহু শিশু]
উল্লেখ্য, গোটা গাজা (Gaza) ভূখণ্ডেই বিদ্যুৎ সংযোগ আগেই ছিন্ন করে দিয়েছিল ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে ভরসা ছিল জেনারেটরের উপরই। কিন্তু জ্বালানি সংকটে এবার সেগুলোও জবাব দিচ্ছে। হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা অসহায় শিশুদের সামনে তাই কার্যতই মৃত্যুর হাতছানি। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই লড়াইয়ে বলি হতে হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুদের।