সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষমেশ লক্ষ্মীবারে ধামাকা হয়েই গেল। দেব ও কুণাল ঘোষ মুখোমুখি হতেই একের পর এক গুগলি, একের পর এক ফুলটস। কফি উইথ কুণালে মিনিটে মিনিটে শুধুই টুইস্ট। আর তারই মাঝে কুণাল ঘোষের প্রথম প্রশ্নেই দেবের(Dev) বিস্ফোরক উত্তর।
বৃহস্পতিবার 'সংবাদ প্রতিদিন'-এর ফেসবুক লাইভে কফি উইথ কুণালে হাজির হয়েছিলেন টলিউড সুপারস্টার দেব। সেই অনুষ্ঠানেই দেবকে কুণালের সোজা প্রশ্ন, সুপারস্টার দেব, দারুণ অভিনেতা, হঠাৎ প্রযোজক হওয়ার দরকার পড়ল কেন?
একটু থমকে, অল্প হেসে দেবের উত্তর, ''আমি খুব একটা মিথ্যা কথা বলতে পারি না। সত্য়িটাই বলছি। আমি বাই ফোর্সেই প্রযোজক হলাম। ২০১৪ সালে যে ধরনের ছবি আমি করতে চাইছিলাম, সেই ছবিগুলো আমাকে দেওয়া হত না। আমাকে অন্য ছবির ডিভিডি ধরিয়ে দেওয়া হত। আমার মনে হত, এই ডিভিডি আর দক্ষিণী ছবির রিমেক বেশিদিন চলবে না। নিজের মধ্যেই খিদেটা জন্মেছিল। কিন্তু এরকম চরিত্র দেবেটা কে? তখন টলিউডে একজন বা দুজনই বড় প্রযোজক। আর আমরা রীতিমতো হাতি হয়ে গিয়েছি, মানে আমাদের নিয়ে ছবি করতে গেলে, অনেক টাকা লাগে। প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। কিন্তু আমি সেরকম ছবি পাচ্ছিলাম না, যে ধরনের করতে চাইছিলাম। ছমাস বসে থাকলাম। বুঝতে পারলাম যে আমি যদি অন্য প্রযোজকদের উপর নির্ভর করে থাকি, তাহলে আমি হয়তো বেশিদিন টিকে থাকতে পারব না। ক্রিয়েটিভলি এমনিই মরে যাব বা অভিনেতা হিসেবে, বেশিদিন আর পারব না, নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে।''
দেব আরও বলেন, ''একদিন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, রুক্মিণী তখন আমার পাশেই ছিল, তখন রুক্মিণী আমাকে বলল, তুমি ঠিক কী চাইছ? আমি বললাম, যেটা চাইছি, সেটা তো কেউ করছে না, কেউ নিচ্ছে না। এই রিমেক সিনেমা বেশিদিন থাকবে না। আমাকে রুক্মিণী বলল, তোমার মন কী বলছে? টাকা আছে? আমি বললাম হ্যাঁ। আমি যে টাকা রোজগার করেছি, তা দিয়ে ছবি তৈরি করব। ২০১৭ সালে আমাদের প্রথম ছবি মুক্তি পায়। আজকে ২০২৪। আমরা ১২টার মতো ছবি প্রযোজনা করেছি। আমি খুশি, যে প্রযোজক হিসেবে, আমরা যে ধরনের গল্প বলেছি বা ছবি রিলিজ করেছি, এই সময় দাঁড়িয়ে খুব কম প্রযোজকই করছে। আমরা বাঘাযতীন করেছি। আমরা টেক্কা করছি। তার পর খাদান এবং বিনোদিনীর মতো ছবি। এই নয় যে দেব শুধু নিজেকে বড় করার জন্যই গিয়েছে, আমাদের জীবনে যাঁদের অবদান রয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামী বা থিয়েটার আইকন নটী বিনোদিনীর মতো চরিত্র। যিনি গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়, তাঁকে নিয়েও ছবি তৈরি করছি। প্রযোজক হিসেবে আমার যাত্রা এই কারণেই, বাই ফোর্স। নিজেকে ক্রিয়েটিভলি বাঁচাতে এবং যে গল্পগুলো মানুষের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম, সেটার জন্যই প্রযোজনায় এসেছি।''