সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্ব যা ভেবে উঠতে পারেনি, সেই পরিষেবাই প্রথম চালু হয়েছিল ভারতবর্ষে। সৌজন্যে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। প্রথমবার হাসপাতাল-ট্রেনের সাক্ষী হয়েছিল দুনিয়া। সেই ১৯৯১ সালের জুলাই মাসে যাত্রা শুরু করে লাইফলাইন বা জীবনরেখা এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেনেই সবরকম চিকিৎসা পরিষেবা পান সাধারণ মানুষ। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামেও যাতে চিকিৎসার অভাব অনুভূত না হয়, সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর এখন নতুন করে সেজে উঠেছে এই লাইফলাইন এক্সপ্রেস। আরও উন্নত হয়েছে পরিষেবা। চলুন একবার ঢুঁ মেরে দেখা যাক ট্রেনের ভিতর কী কী রয়েছে।
হাসপাতাল-ট্রেনটি তৈরির পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা পৌঁছে যায়। ট্রেনের কামরায় পা রাখলেই চিকিৎসা পরিষেবা পান প্রত্যেকে। তাও আবার বিনামূল্যে। বর্তমানে অসমের বাদারপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেনটি। আপাতত এই রাজ্যের মানুষ লাইফলাইন এক্সপ্রেসে (Lifeline Express) বিনামূল্যে পাচ্ছেন পরিষেবা। বলা ভাল, আগের তুলনায় এখন এর পরিকাঠামোগত উন্নতিও হয়েছে। বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা মেলে এখানে।
[আরও পড়ুন: পৌষের শেষে গ্রীষ্মের ঘামে ঘরে ঘরে বাড়ছে অসুখ, সাবধানবাণী চিকিৎসকদের]
ট্রেনটিতে রয়েছে মোট সাতটি কামরা। সব ধরনের ডাক্তারি সরঞ্জাম থেকে পেশাদার এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের বাস এই অন্দরে। তাঁরা শুধু মাত্র রোগীকে দেখে ওষুধই দেন না, প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারও করা হয়। যার জন্য দুটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারও আছে এখানে। এছাড়াও পাঁচটি অপারেশন টেবিল, স্টেরিলাইজিং রুম, রোগীদের ওয়ার্ডের মতো সবই রয়েছে। একটি কামরায় মজুত থাকে ওষুধ। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় ওষুধ পেয়ে যান রোগীরা। এককথায়, একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে যা যা পরিষেবা মেলে, সবই রয়েছে লাইফলাইন এক্সপ্রেসে।
রোগীরা যেমন এখানে পরিষেবা পান, তেমনই যে কোনও মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মতো প্রেসার, রক্তচাপ, সুগার চেক-আপও করাতে পারেন। দাঁতের সমস্যা, ক্যানসার চিকিৎসা-সহ যাবতীয় পরিষেবাই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যা মহার্ঘ্যের বাজারে দাঁড়িয়ে কল্পনা করাও কঠিন।