সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। ইটালিতেও মিলেছে অস্তিত্ব। তবে, করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO আশ্বস্ত করেছে, এই নতুন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের গতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। আর সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন কিছু করার প্রয়োজন নেই। যে পদ্ধতিগুলিতে COVID-19 মোকাবিলা করা গিয়েছে, নতুন এই ভাইরাসকেও সেই একই পদ্ধতি মেনে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে, সেটা করতে হবে আরও কঠোরভাবে।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে করোনার (Coronavirus) নতুন স্ট্রেনের ছড়িয়ে পড়ার খবরে ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার লন্ডন-সহ দেশের একাংশে লকডাউন ঘোষণা করে ব্রিটেন। এর কারণ, নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশের শরীরে নতুন করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানক মনে করছেন, এই ভাইরাস আগের স্ট্রেনের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এবং সেদেশে তা ইতিমধ্যেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই, সংক্রমণের ভয়ে ইউরোপের দেশগুলি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। ব্রিটেন থেকে তাদের দেশে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ব্রিটেনের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে। ব্রিটেন সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে বেলজিয়াম। একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। ইটালিতে করোনার নতুন স্ট্রেন ঢুকে পড়ায় তারাও ব্রিটেনের সমস্ত বিমান বাতিল করতে পারে বলে খবর। শুধু তাই নয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন থেকে যাত্রী বিমানের ভারতে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকেও ভারতে বিমান পরিষেবা বাতিল করা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ইউরোপে আতঙ্ক ছড়িয়ে এবার ইটালিতে হানা নতুন করোনা ভাইরাসের]
WHO বলছে, ইতিমধ্যে মোট ৩০টি দেশ ব্রিটেন থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের কর্তা মাইক রায়ান বলছেন,”আগের বার একাধিক ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার এর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সুতরাং, সেদিক থেকে দেখতে গেলে পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে যায়নি। তা বলে এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। আমরা এখন যেভাবে ভাইরাস মোকাবিলা করছি, সেটাই সঠিক পদ্ধতি। আর আমাদের সেটাই আরও ভালভাবে করতে হবে। ভাইরাসটি বেশি বিপজ্জনক হলেও এটাকে আটকে দেওয়া সম্ভব।”