shono
Advertisement

ড্যানিয়েল পার্ল হত্যা মামলায় প্রকাশ্যে এল আইএসআই ও পাক আদালতের যোগসাজশ

মাথা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয় সাংবাদিক পার্লকে।
Posted: 01:19 PM Mar 09, 2021Updated: 01:19 PM Mar 09, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ড্যানিয়েল পার্ল হত্যা মামলায় প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য। এবার গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থা ও আইএসআইয়ের ‘মধুচন্দ্রিমা’র ছবি পরিষ্কার করে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করেছে ‘SpyTalk’ নামের এক সংস্থা। সেখানে সাফ বলা হয়েছে, সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকারীদের যে পাক বিচারপতিরা মুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁরা আইএসআই ঘনিষ্ঠ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকারী ওমর শেখকে মুক্তি দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট]

গত জানুয়ারি মাসে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে (Daniel Pearl) অপহরণ ও হত্যায় মূল অভিযুক্ত জঙ্গি ওমর সইদ শেখকে (Omar Sheikh) ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। পাক শীর্ষ আদালতের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় আমেরিকা, ভারত-সহ একাধিক দেশ। বাইডেন প্রশাসন সাফ জানায়, এই রায় যাঁরা সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন, তাঁদের সকলের জন্য অবমাননাকর। এহেন সময়ে পাক বিচারব্যবস্থা ও কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে যোগসাজশের বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে প্রতিরক্ষা ও চরবৃত্তি সংক্রান্ত বিশ্লেষক সংস্থা ‘SpyTalk’। সেখানে সাফ বলা হয়েছে, পার্লের হত্যাকারীকে মুক্তি দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির মধ্যে দু’জনেই আইএসআই ঘনিষ্ঠ। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পার্লের হত্যাকারীরা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। ফলে তাদের মুক্তির জন্য সমস্ত চেষ্টা করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশাসন থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পাক সেনা ও আইএসআইয়ের নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত মজবুত। আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত তথা সাংবাদিক হুসেন হাক্কানি ‘SpyTalk’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পার্লের হত্যাকারীদের মুক্তি সাফ জানিয়ে দিচ্ছে যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্দে দেশটির লড়াই প্রায় নাটকে পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পাকিস্তানে এসেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল। আইএসআই ও আল কায়দার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করছিলেন তিনি। এরপরই তাঁকে অপহরণ করে ওমর। মাথা কেটে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে সে। এর আগে ১৯৯৪ সালে চারজন বিদেশি পর্যটককে অপহরণ করে ওমর। তখন সে কাশ্মীরে ছিল। বিচারে সাজা হয় তার। গাজিয়াবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন জেলে থাকতে হয়েছে তাকে। পরে ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি। ওমর শেখকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে তার প্রাণভিক্ষার আরজি মেনে সাজা কমিয়ে সাত বছর করা হয়। কিছুদিন আগে তাকে ছেড়ে দেওয়ার রায় দিয়েছিল সিন্ধের আদালত। সেই রায়ই বহাল রেখেছে পাক সুপ্রিম কোর্টও।

[আরও পড়ুন: এবার ইউরোপের আরও এক দেশে নিষিদ্ধ বোরখা, হিজাবের মতো মুখঢাকা পোশাক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement