সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তোলার অভিযোগে জামাত-ই-ইসলামি ও ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু এবার এই নিষেধাজ্ঞা উঠতে চলেছে! আগামিকাল মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জামাত নিযুক্ত আইনজীবী মহম্মদ শিশির মনির। কয়েকদিন আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জামাতের প্রধান ও অন্যান্য সদস্যরা। ফের কী স্বমহিমায় ফিরবে জামাত?
গত ১ আগস্ট জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামাত, ছাত্রশিবির-সহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এর চার দিন পর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়। পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাত নতুন সরকারের কাছে নিষিদ্ধের বিষয়টি তুলেছিল। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জামাতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কোন আইনে নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা যায়। তখন জামাত শিশির মনিরকে তাদের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করে।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হতেই লুটপাটের পর আগুন, ১৫ ঘণ্টা পরেও জ্বলছে হাসিনার প্রাক্তন মন্ত্রীর টায়ার কারখানা!]
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে শিশির মনির জানান, সন্ত্রাস দমনের যে আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সে আইনেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে। সেই ব্যাখ্যা তিনি স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। সরকারি সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, সরকারি প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি, জামাতের মতো রাজনৈতিক দল। উপস্থিত ছিলেন জামাতের আমির শফিকুর রহমান ও দলের অন্যান্য সদস্যারা। বৈঠকে শফিকুর সাফ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য হঠাৎ করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হল। মানুষ এটা গ্রহণ করেনি। কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দিল বলেই আমরা নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম? এটা আমরা মনে করি না।" তখন অবশ্য তিনি দাবি করেছিলেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে কোনও কথা হয়নি।