নিরুফা খাতুন: ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। সুন্দরবন, দিঘার মতো উপকূলের এলাকাগুলিতে জারি বাড়তি সতর্কতা। কিন্তু কোন পথে এগোবে এই সাইক্লোন? কোথায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা? বাংলায় এর প্রভাব কতটা পড়বে? এবার এ নিয়ে বড়সড় আপডেট হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবারই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এদিন রাতের মধ্যেই তা গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। যা অবস্থান করবে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায়। বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোকার আবির্ভাব ঘটবে। প্রাথমিক ভাবে সেটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। তবে বৃহস্পতিবার মোকা বাঁক নেবে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের অভিমুখ নিয়ে এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ বাংলায় এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
[আরও পড়ুন: ‘না জেনে লিখে এনে বড় বড় ভাষণ’, নাম না করে শাহর কবিপ্রণাম নিয়ে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর]
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে তাপপ্রবাহ। শুক্র এবং শনিবার উপকূলের তিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার আরও বাড়বে বৃষ্টি। কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে। আবার উত্তরে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহ চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাতেও চলবে বৃষ্টি চলবে।
এর অর্থ ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাবে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং তীব্র গরমে হাসফাঁস দশা হতে চলেছে আমজনতার। এদিনও সকালে যার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। শুষ্ক গরমে লু-এর পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ ডিগ্রি ছোঁবে কলকাতার তাপমাত্রা।