সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দুটি দফার লকডাউনে (Lockdown) পুরোপুরি বন্ধ ছিল মদের দোকান। এর ফলে হাহাকার উঠেছিল মদের অনুরাগীদের মধ্যে! তবে তৃতীয় দফার লকডাউনের শুরুতে বিশেষ করোনা কর বসিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় মদ বিক্রি। এর ফলে বিভিন্ন মানুষ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির সমালোচনাও শুরু করেন। যদিও এই পদক্ষেপ অর্থনীতির হাল ফেরাতে অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েকদিন মদ বেচাকেনার পর এর সত্যতাও সবার সামনে আসে। বিভিন্ন রাজ্যের মতো মদ বিক্রিতে রেকর্ড গড়ে পশ্চিমবঙ্গও। দোকান খোলার ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১০০ কোটির টাকা মদ (Liquor) বেচে উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। কিন্তু, এখন সেই ছবিটা পুরো বদলে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে ক্রমশই কমছে মদের বিক্রি।
এপ্রসঙ্গে রাজ্য আবগারি দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২ মাস আগে যখন মদের দোকান খুলেছিল তখন মানুষের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। প্রচুর বেচাকেনা হচ্ছিল। কিন্তু, গত দুমাসে সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। এখন আর আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না। গত ২ মাসে ৩৫০ কোটি টাকা করে মোট ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। কিন্তু, লকডাউন শুরু হওয়ার আগে প্রতিমাসে ৯৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছিল। যা পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মূলত কমদামি বিদেশি মদ ও দেশি মদের বিক্রি একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে।
[আরও পড়ুন: রোজ ভাঙছে সংক্রমণের রেকর্ড, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৬০০ ]
এই ঘটনার ফলে রাজ্যের কোষাগারেও টান পড়েছে বলে জানা গিয়েছে অর্থদপ্তর সূত্রে। এক আধিকারিকের কথায়, মদ বিক্রি কমে যাওয়ার ফলে রাজ্যের কোষাগারে অর্থের যোগান কমেছে। এমনিতেই লকডাউনের জেরে রাজ্যের অর্থভাণ্ডারে টান পড়েছে তার উপর মদ বিক্রি থেকে আয় কমার ফলে আরও সমস্যা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজের মজুরি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান]
The post আনলকে পকেট গড়ের মাঠ! মদ বিক্রি তলানিতে বাংলায় appeared first on Sangbad Pratidin.