রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: আট দফা নির্বাচন শেষে আগামী ২ মে রাজ্যের ২৯২ টি কেন্দ্রের ভোটগণনা। তার আগে ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)। রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত অফিসের তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটল। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত আমদাবাদ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই পালটা চুরির অভিযোগে সরব বিজেপি (BJP)। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল চৌর্যবৃত্তিতেই অভ্যস্ত। দুর্নীতি চাপা দিতেই এভাবে সব নথি সরানো হল। এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যতই জারি থাকুক, পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়া যাওয়ায় আপাতত বিশ বাঁও জলে কর্মী, আধিকারিকরা। কীভাবে কাজ হবে, এই মুহূর্তে সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাবনার বিষয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমদাবাদ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সবকটি আলো নেভানো ছিল। অন্ধকারের সুযোগেই পঞ্চায়েত অফিসের তালা ভেঙে হার্ডডিস্ক, কম্পিউটার-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। নন্দীগ্রাম ২ দক্ষিণ মণ্ডলের বিজেপি সহ-সভাপতি দিলীপ পালের স্পষ্ট অভিযোগ, ”তৃণমূল তো চুরিতেই অভ্যস্ত। বরাবর চুরি করে। আমফানের চাল চুরি করেছে। এবার পঞ্চায়েতের দুর্নীতি ঢাকতে এসব চুরি করিয়েছে ওরা নিজেরাই। নাহলে রাতে কেন সব আলো নেভানো ছিল? আমরা এর যথাযথ তদন্ত চাই।”
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বীরভূমে, বোমা বাঁধতে গিয়ে হাত উড়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির ]
প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি সবচেয়ে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। এখান থেকে লড়েছেন দুই হেভিওয়েট – তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এখানে। তবে বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, খানিকটা হলেও পাল্লা ভারী তৃণমূলের। আবার গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুভেন্দুই জিতবেন। এই টানাপোড়েনের অবসান হবে ২ মে। তবে তার আগে নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত অফিসের চুরির ঘটনা একাধারে অনেকগুলো প্রশ্ন উসকে দিল।