গোবিন্দ রায়: কোনও অতিরিক্ত নিয়োগ হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া লিখিত বক্তব্যে এমনই জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দাবি, SSC-র সুপারিশ ছাড়া কোনও কিছুর উপরই নির্ভর করে না নিয়োগ। সেই সঙ্গে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক ও গ্রুপ বি, সি-তে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর। আগামী ৬ অগাস্ট মামলার শুনানি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ করা হয়েছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই মামলার জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিত চাকরি বাতিল। তবে সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানাল, যেকোনও পরীক্ষার্থীকে তখনই নিয়োগপত্র দেওয়া হয় যখন SSC তার নাম সুপারিশ করে। নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও কেউ যোগদান না করলে সেই শূন্যস্থানে বোর্ড অন্য পরীক্ষার্থীকে সুযোগ দিয়েছে। কোনও অতিরিক্ত নিয়োগ হয়নি। শীর্ষ আদালতে পর্ষদ আরও জানিয়েছে, সুপারিশ পত্র ও নিয়োগপত্র আলাদা। ফলে SSC যে সুপারিশ পত্র পাঠিয়েছে তার সঙ্গে বোর্ডের পাঠানো নিয়োগ পত্রের সংখ্যা মিলবে না।
[আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র সংস্থায় এক বছরে সাড়ে ৬ কোটি নগদ জমা! বিপুল টাকার উৎস কী? তদন্তে ED]
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টে SSC যে তালিকা দিয়েছিল তার সঙ্গে বোর্ডের তালিকা মেলেনি। এর পরই প্রশ্ন ওঠে অতিরিক্ত নিয়োগ কীভাবে হয়েছে? বোর্ডের যুক্তি ছিল, অনেক সময় স্কুলে শূন্যপদ অনুযায়ী নিয়োগপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু কোনও কারণে সেই শিক্ষক যোগ না দেওয়ায় একই শূন্যপদে আরও এক শিক্ষকককে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়।