বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোটমুখী মরুরাজ্যে হাত শিবিরে প্রবল ঝড়। রাজস্থানে ভোটের আগে কংগ্রেসের (Congress) অভ্যন্তরে ঝড় থামাতে ময়দানে নামেন রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। যুযুধান দু’পক্ষের শীর্ষনেতা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও বিক্ষুব্ধ নেতা শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) মুখোমুখি বসিয়ে অশান্তি মিটিয়ে নেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে এবার ‘হাত’ ছাড়তে চলেছেন শচীন। আগামী একমাসের মধ্যেই শচীনের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হবে বলে সূত্রের খবর।
দল গঠনের প্রস্তুতির পাশাপাশি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) ‘আই প্যাক’-এর সঙ্গেও বিক্ষুব্ধ এই কংগ্রেস নেতার সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে। একাধিকবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে শচীন পাইলট বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। দলের নাম থেকে ভোটকৌশল– সবই তাঁরা ঠিক করবেন বলে জানান ‘আই প্যাক’-এর এক কর্তা।
[আরও পড়ুন: ভরতের জায়গায় কেন নয় ঋদ্ধি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে হরভজনের প্রশ্ন]
দীর্ঘদিন ধরেই গেহলট ও পাইলট শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত রাজস্থান কংগ্রেস। দ্বন্দ্ব মেটাতে বারবারই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীদের। গত মাসের শেষে দুই মেরুতে থাকা দলের দুই নেতাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে বৈঠক করেন খাড়গে ও রাহুল। বৈঠক শেষে ঐক্যের বার্তাও দেওয়া হয় দলের তরফে। তবে মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রে রাহুল নিজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য পেশ করলেও রাজস্থানের ক্ষেত্রে তা হয়নি। কর্নাটকের মতো মরুরাজ্যেও বিবদমান দুই নেতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সম্মত হয়েছেন বলে জানান সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। কিন্তু বৈঠকের পরদিনই রাজ্যে ফিরে গেহলট ও পাইলট একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তাতেই কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের দাবিকে ঘিরে সংশয় তৈরি হয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
পাইলট ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের বৈঠককে কেন্দ্র করে জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়। এই দু’জনের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা হয় বলে স্বীকার করেন ‘আই প্যাক’-এর এক কর্তা। তবে বিষয়টি কংগ্রেস হাইকমান্ডের অজানা নয়। তাই গেহলট ও শচীনকে নিয়ে খাড়গেরা বৈঠক করেন বলে জানান দলের প্রভাবশালী এক নেতা। এখনও ধারাবাহিকভাবে পাইলটকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। তবে শচীন কংগ্রেস ভেঙে নতুন দল গঠন করলে মরুরাজ্যে হাত শিবিরের ভোটবাক্সে বড়সড় প্রভাব পড়বে বলেও স্বীকার করেন তিনি।