সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক শেষে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মিলিত বিরোধী জোটে কংগ্রেসের উপস্থিতি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, “বিজেপির বিরুদ্ধে সম্মিলিত মঞ্চ গড়ে লড়তে চায় তৃণমূল-সহ আঞ্চলিক দলগুলি। কিন্তু কেউ যদি লড়তে না চায়, তাহলে কী করা যাবে!”
মুম্বই সফরের প্রথম দিনই শিব সেনা নেতা আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দিন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার বৃষ্টিস্নাত দুপুরে শরদ পওয়ারের বাড়িতে যান মমতা। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁর কথা হয় পওয়ারের সঙ্গে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকও ছিলেন ওই আলোচনায়।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে অখিলেশ যাদবের নামে ‘মানহানিকর’ পোস্ট, জুকারবার্গ-সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা]
ঘটনাচক্রে মুম্বইয়ে যে দু’টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বৈঠক করলেন, সেই দু’টি দলই কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এবং ইউপিএ জোটের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, বিজেপিকে রুখতে যে সম্মিলিত বিরোধী জোটের কথা মমতা বা পওয়াররা বারবার বলেছেন, সেই জোটে কি কংগ্রেসকে ভাগীদার হিসাবে দেখছেন তাঁরা? পওয়ার সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর না দিলেও, মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস লড়াইয়ের মাঠেই নেই। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেত্রীর সাফ কথা, এখন ইউপিএ অর্থাৎ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের কোনও অস্তিত্ব নেই। মমতার ইঙ্গিতে স্পষ্ট, ইউপিএ নয়। বিজেপিকে রুখতে বৃহত্তম ফ্রন্ট বানাতে চান তিনি। আর সেই ফ্রন্টেই বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করবে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ‘পরিস্থিতি ঠিক করে দেবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন’, মুম্বইয়ে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মমতার]
এদিন বৈঠক শেষে মমতা এবং পওয়ার সমস্বরে বলছেন, বিজেপি বিরোধী মহাজোটের নেতৃত্ব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন। তাঁরা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য বিকল্প তুলে ধরতে চান। এনসিপি সুপ্রিমো পওয়ার যেমন এদিন বলছেন, “বিজেপি বিরোধী এই মহাজোটে কে নেতৃত্ব দেবে সেটা আমাদের কাছে ইস্যু নয়। আমরা চাই মানুষের সামনে এমন একটা বিকল্প তুলে ধরতে, যার উপর মানুষ ভরসা করতে পারবে।” তেমনই মমতাকেও বলতে শোনা গিয়েছে, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তিশালী বিকল্প তৈরি করতে হবে। তাই সমমনস্ক সব দলকে একত্রিত করে মানুষের সামনে শক্তিশালী বিকল্প তুলে ধরাটাই তাঁর লক্ষ্য।