সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব়্যাঞ্চো, ফারহান ও রাজু রাস্তোগি৷ নামগুলো নিশ্চয়ই চেনা লাগছে! হ্যাঁ৷ ঠিকই ধরেছেন৷ জনপ্রিয় ছবি ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর সেই তিন বন্ধু৷ রুপোলি পর্দায় যাঁদের বন্ধুতা ও সাফল্যের কাহিনী দর্শকদের মনের মনিকোঠায় রয়ে গিয়েছে৷ রবিবার ফ্রেন্ডশিপ ডে বা বন্ধুতা দিবসে এমনই তিন ‘ইডিয়ট’ সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন৷ না৷ বলিউড ছবি ‘থ্রি ইডিয়টস পার্ট টু’ নয়৷ একেবারে রক্ত-মাংসের বাস্তব চরিত্র৷ নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শন করে এঁরা হয়ে উঠেছেন রিয়েল লাইফ হিরো৷
এই ‘থ্রি ইডিয়টস’ হলেন জগরাঁওয়ের পরশ লুম্বা, চণ্ডীগড়ের জয়দীপ ও বরুণ লুম্বা৷ কী এমন করলেন তাঁরা, যার জন্য গোটা দেশ তাঁদের গুণগান গাইতে শুরু করেছে?
নিজেদের উদ্যোগে অন্ধকারকে আলোয় ভরিয়ে দিয়েছেন এই তিনজন৷ সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে লাদাখের লাংনাক উপত্যকার একাংশ আলোকিত করেছেন তাঁরা৷
তিন বন্ধু মিলে বেরিয়ে পড়েছিলেন হিমালয় অভিযানে৷ ঠিক করাই ছিল, লাদাখে পৌঁছে কাজটা সেরে ফেলবেন৷ বিদ্যুতের জন্য লাংনাক উপত্যকাতে সোলার মাইক্রো গ্রিডস ইনস্টল করেন৷ আর তাতেই আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে প্রাচীন ফুগতাল মঠ৷ বিশ্বের প্রাচীনতম মঠগুলির মধ্যে একটি হল এই মঠ৷ অনেক পর্যটকদের কাছে এই স্থান অজানা হলেও, লেহ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের এই মঠে স্থানীয়রা নিয়মিত যাতায়াত করেন৷ তাঁদের বিশ্বাস, যেখানে ঈশ্বর বাস করেন, তা আলোকিত হলে সভ্যতার উন্নতি ঘটে৷ তাই মঠে আলো জ্বলে ওঠায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাণ ভরে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তিন বন্ধুকে৷
বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেই এমন উদ্যোগে সফল হয়েছেন পরশ, জয়দীপ ও বরুণ৷ পরশ বলেন, “আমরা প্রথমে গ্রামে আলো আনতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু স্থানীয়রাই বললেন বৈদ্যুতিক আলো সবার আগে মঠেই জ্বলুক৷” তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য গোটা গ্রামকে বৈদ্যুতিক আলোয় উজ্জ্বল করে তোলা৷ তিন বন্ধুর পাশাপাশি এই কৃতিত্বের অধিকারী দানিশ ন্যাশনাল রল্ফ পালগার্ড ও মাজ বেলড্রিং৷ এছাড়া আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নেপাল, স্লোভাকিয়া, গ্রীস, অস্ট্রেলিয়া, চিলি, হল্যান্ডেরও এই প্রোজেক্টে বড় ভূমিকা রয়েছে৷