বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: হাঁসখালি কাণ্ডে (Hanskhali Rape Case) তোলপাড় রাজ্য। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সবমহল। এরই মাঝে মেয়ের সঙ্গে ঘটা নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মৃতার বাবা। তাঁর অভিযোগ, জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরই অভিযুক্ত সোহেল ও তার দলবল হুমকি দিতে শুরু করে তাঁদের। মুখ খুললে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাঁর।
হাঁসখালি কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ৪ তারিখ ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১০ এপ্রিল। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) হাঁসখালি কাণ্ডে প্রশ্ন করেছিলেন, “মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ, পুলিশ জেনেছে ১০ তারিখে। আপনারা বলুন কোনওরকম অভিযোগ থাকলে ৫ তারিখ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন?” বুধবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন মৃত নাবালিকার বাবা।
[আরও পড়ুন: তপন কান্দু খুনে সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেপ্তার, টানা ২১ ঘণ্টা জেরার পর ধৃত তৃণমূল নেতা]
তিনি জানান, সোহেলের জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল নাবালিকা। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ে ফেরার পরই সোহেল ওরফে ব্রজগোপাল ও তার দলবল তাঁদের বাড়িতে হাজির হয়। কাউকে কিছু না জানানোর নির্দেশ দেয়। কারও কাছে মুখ খুললে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই নাবালিকার পরিবার ভয় পায়। তাঁরা পুলিশে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি। এদিকে ভোরে মৃত্যু হয় নাবালিকার। মৃতার বাবার দাবি, নাবালিকার মৃত্যুর পর অভিযুক্তরাই হাতে করে দেহ নিয়ে যায় শ্মশানে। দেহ দাহ করে দেওয়া হয় পরিবারের কারও উপস্থিতি ছাড়াই। মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই নির্মম ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল প্রেমিকের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল নদিয়ার হাঁসখালির নাবালিকা। গভীর রাতে এক মহিলা অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে যায় বাড়িতে। সেইসময় নাবালিকার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরেরদিন ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই অভিযোগ ওঠে, প্রেমিক সোহেল ধর্ষণ করেছে নাবালিকাকে। যার জেরে মৃত্যু। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।