সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: চুরির মতো অসামাজিক কাজও কিন্তু কম কষ্টের নয়। পরিশ্রম রয়েছে যথেষ্ট। সেটাই যেন প্রমাণ করল একদল দুষ্কৃতী। ফাঁকা কোয়ার্টারে সোনার গয়নাগাটি এবং নগদ চুরির পর ফ্রিজ খুলে পেস্তা খেয়ে নিল তারা। যাওয়ার আগে ওই কোয়ার্টারের প্রত্যেকটি বাল্ব খুলে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় তাজ্জব দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার এমএএমসির বি টু এলাকার বাসিন্দারা।
ওই এলাকার বাসিন্দা রবিন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা গত কয়েকদিন বাড়িতে ছিলেন না। শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ফিরে আসেন। চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় দম্পতির। তাঁরা দেখেন কোয়ার্টারের দরজা ভাঙা। ভিতরে ঢুকতেই দেখেন সব জিনিসপত্র ওলটপালট হয়ে রয়েছে। বাল্ব জ্বালাতে গিয়ে দেখেন সেগুলিও নেই।
[আরও পড়ুন: ভূতের গল্প বানিয়েছিলেন খোদ স্টেশন মাস্টার! ৫৬ বছর পর ফাঁস বেগুনকোদরের ভূতুড়ে রহস্য]
বাড়ির মেঝের উপর পড়ে রয়েছে আলমারির ভাঙা অংশ। ভাঁড়ে জমানো প্রায় ৪০ হাজার টাকা এবং আলমারি থেকে প্রায় পাঁচ ভরির সোনার অলংকারও চুরি গিয়েছে বলেই দাবি গৃহস্থের। তবে এ তো নয় গেল টাকা, গয়নাগাটির কথা। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হল চুরি করার পর ফ্রিজ খুলে খাবারদাবারও খেয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ফ্রিজে থাকা পেস্তা খেয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
গৃহকর্ত্রী অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দু’মাসের জন্য গুজরাটে বেড়াতে গিয়েছিলাম। গয়না, কাপড় নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ফ্রিজে থাকা পেস্তাবাদামও খেয়ে নিয়েছে তারা। এসব দেখে যেন মাথা ঠান্ডা রাখাই মুশকিল।” দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।