সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus)) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই টিকা নেওয়ার তাগিদ অনুভব করতে শুরু করেছেন সবাই। অথচ গোড়ার দিকে টিকা নেওয়ায় অনীহাই লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু ছবিটা এখন পুরোদস্তুর বদলে গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটের মধ্যেই ওষুধ প্রস্তুতকারী মার্কিন সংস্থা ফাইজারের (Pfizer) সিইও অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়ে দিয়েছেন, ২ দফার টিকা নেওয়ার ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে তৃতীয় টিকা নিতে হবে। শুধু তাই নয়, তার পরেও করোনার হাত থেকে বাঁচতে প্রতি বছরই নিতে হবে টিকা।
[আরও পড়ুন: কমেছে অসুস্থতা, লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দিতে চান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য]
ভারতে ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিন (Covaxin) এবং কোভিশিল্ডের (Covishield) পর তৃতীয় টিকা স্পুটনিক ভি-কেও (Sputnik V) ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া চলছে। করোনা রক্তচক্ষু দেখালেও এখনও মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে গা-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে। মাস্ক ছাড়া অনেককেই ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এদেশের একাধিক রাজ্যে সতর্কতার জন্য নাইট কারফিউ চালু করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। শুধু এ দেশে নয়, গোটা বিশ্ব বেসামাল করোনার উপদ্রবে। যেভাবে করোনা দাপট দেখাচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে ফাইজারের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ৬ মাস তা কার্যকর থাকছে। অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, তাদের টিকা কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৬ মাস পর্যন্ত বেশ ভাল কার্যকর। তার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর কার্যকরিতা কমতে থাকে। এর আগে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, করোনা নেওয়ার পরেও বুস্টার ডোজ প্রয়োজন। সে কথাই সমর্থন করলেন অ্যালবার্ট বোরলা। ফেব্রুয়ারিতে ফাইজার ও বায়োএনটেক জানিয়েছিল, তারা ভাইরাসটির নতুন রূপগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া আরও ভালোভাবে বুঝতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের একটি তৃতীয় ডোজ পরীক্ষা করছে।