প্রণব সরকার, আগরতলা: মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ, সেখান থেকে ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীরা। এ ধরনের অনুপ্রবেশের খবর মিলছিল প্রায়শয়ই। তবে এবার কাঁটাতার পেরিয়ে ত্রিপুরা (Tripura) দিয়ে ঢুকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রোহিঙ্গারা অসমে পৌঁছে গেল। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। অসমের প্রবেশের ১০০ মিটারের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল শিশু, মহিলা-সহ ১৩ জন রোহিঙ্গা। ঘটনার পর থেকে ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি চূড়ান্ত সতর্কতা।
এবার বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায়ও ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গা শরণার্থী। ত্রিপুরার সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে রাজধানী আগরতলা থেকে জাতীয় সড়কের উপর থাকা কয়েকটি থানার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই তারা এগিয়ে গিয়েছে বলে খবর। শেষমেশ অসমের চুরাইবাড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়লো বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা।
[আরও পড়ুন: ‘পাগড়ি পরে বিপক্ষের নেতারাই স্লোগান দিচ্ছেন’, কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রবি কিষেণের]
জানা গিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিল। সেখান থেকে পালিয়ে অবৈধ উপায়ে দালালচক্রের মাধ্যমে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানী আগরতলা থেকে রায়ান ট্রাভেলসের নৈশকালীন বাসে করে প্রাথমিকভাবে গুয়াহাটি যাওয়ার জন্য রওনা দেয় তারা। ধৃতদের জেরা করে এসব তথ্য হাতে পেয়ে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন পুলিশ কর্তারাই। আগরতলা থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ওপর এতগুলি থানার তল্লাশি ব্যবস্থা থাকলেও কী করে রোহিঙ্গারা ত্রিপুরা থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হল? এ প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না কেউই।
[আরও পড়ুন: পালঘরের সাধুহত্যা মামলায় পাঁচ নাবালক-সহ গ্রেপ্তার আরও ১৯]
তবে শেষরক্ষা হয়নি। অসম পুলিশের তৎপরতায় ত্রিপুরা চুরাইবাড়ি গেট পেরিয়ে ১০০ মিটারের মধ্যে থানার হাতে ধরা পড়ে রোহিঙ্গারা। জানা গিয়েছে, ধৃত ১৩ জন রোহিঙ্গা দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর এবং হায়দরাবাদে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তাদের এই দলে শিশু থেকে মহিলা, যুবক – সবাই রয়েছে। তাদের থেকে ভারতীয় মুদ্রার পাশাপাশি বাংলাদেশি মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে। অসম পুলিস তাদের আটক করে মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এর আগেও অনেক নাইজেরিয়ান-সহ বিদেশী যুবক, যুবতী বাংলাদেশ থেকে আগরতলায় দালাল মারফৎ প্রবেশ করে একই কায়দায় জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে অসমে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে অসম পুলিসের হাতে ধরা পড়েছিল।