সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজির গড়েছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অন্ধকার দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে বিক্রম। দেশের এই সাফল্যই এবার ফুটিয়ে তোলা হল কলকাতার গণেশ পুজোর মণ্ডপে।
শুধু দিল্লি-মুম্বইয় নয়, গত কয়েক বছর ধরে কলকাতার অলিতে গলিতেও ধুমধাম করে হচ্ছে গণেশ পুজোর আয়োজন। কোথাও গণপতির সুউচ্চ প্রতিমা তো কোথাও থিমের বহর। আর এবার সিদ্ধিদাতার পুজোর থিম হিসাবে বেছে নেওয়া হল ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যকে। বাগুইআটির এক্সিকিউটিভ প্যালেস কমপ্লেক্সের সোসাইটিতে এবার গণেশ চতুর্থী আর চন্দ্রযান ৩ অভিযান মিলেমিশে একাকার।
[আরও পড়ুন: রানিনগরে স্থায়ী সমিতি নির্বাচন: হাই কোর্ট দিনক্ষণ জানাল রাজ্য, পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ বিচারপতির]
সোসাইটির সদস্যরা ইসরোকে এই পুজো উৎসর্গ করেছেন। এই পুজোর সম্পাদক অঙ্কিত আগরওয়াল বলছেন, “গণেশ চতুর্থী বাংলার তুলনায় পশ্চিম ভারতে বেশি ধুমধাম করে উদযাপিত হয়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এখানেও যথেষ্ট উৎসাহের সঙ্গে এই পুজো পালিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি শুভ সূচনা এবং প্রতিটি শুভ কাজ ভগবান গণেশের পূজা দিয়ে শুরু হয়। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে আমরা এ বছর ইসরোকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রতিটি ভারতীয়র জন্য চন্দ্রযান-৩ অভিযান অত্যন্ত গর্বের। নতুন ইতিহাস রচনা করেছি আমরা। গণেশ চতুর্থীর আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে তিনি সব বাধা দূর করেন এবং সুখী পরিবেশ তৈরি করেন। এ বছর আমাদের উৎসব ছয় দিন ধরে উদযাপন করা হবে।”
শুধু তাই নয়, বিসর্জনের আগে একটি বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে সব স্থানীয় বাসিন্দা অংশ নেবেন। এই উপলক্ষে বাইরের অন্তত দুহাজারেরও বেশি মানুষকে ভোগ বিতরণ করা হবে।