সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ। দশ বছরে সাত বার নালিশ। প্রতি বারই অভিযুক্ত স্বামীকে মুক্ত করেন অভিযোগকারী স্ত্রী। শান্তি ও অশান্তির এই গল্প গুজরাটের (Gujarat) এক দম্পতির। স্ত্রী পুলিশে অভিযোগ করায় মামলা ওঠে আদালতে। এমনকী বিচারকের নির্দেশে স্ত্রীকে খোরপোশও দিতে হয়েছে, পাঁচ মাস জেলও খাটতে হয়েছে। পরে অবশ্য ঝামেলা মেটে। তবে এবারে নাকি গোলমাল চরমে পৌঁছে্ছে।
মহেসানা জেলার কডি শহরের বাসিন্দা প্রেমচন্দ্র মালি। তাঁর স্ত্রীর নাম সোনু। যুগলের বিয়ে হয় ২০০১ সালে। বিয়ের বয়স যখন তেরো বছর, তখনই শুরু হয় অশান্তি। ২০১৫ সালে প্রথম বার গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে প্রেমের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সোনু। আদালতে মামলা উঠলে বিচারক প্রতি মাসে দু’হাজার টাকা করে খোরপোশের নির্দেশ দেন। যদিও পেশায় দিনমজুর প্রেম সেই টাকা দিতে চাননি। এই অপরাধে পাঁচ মাস জেল হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দিনই প্রবল বর্ষণে রাস্তায় ধস, উপায় না পেয়ে অনলাইনেই শুভদৃষ্টি হিমাচলের যুগলের]
এই সময় থেকে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বসবাস শুরু করলেও পরে একত্রে হন। যদিও নতুন করে শুরু সাংসারিক অশান্তির। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছরই স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছেন সোনু। যদিও প্রতি বার তিনি নিজেই লকআপ থেকে স্বামীকে ছাড়িয়েছেন। চলতি মাসে ফের স্ত্রীর অভিযোগে জেল হয়েছিল প্রেমের। যথারীতি এবারও তাঁর জামিন দেন সোনু নিজেই। তাহলে কি অশান্তি মিটল?
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, টমেটো বিক্রি করবে মোদি সরকার]
একবারেই না। উলটে এবার স্ত্রীর বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলেছেন স্বামী। তাঁর দাবি, টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন কেড়ে নেন সোনু, এমনকী তাঁদের সন্তানের ক্ষতি করতে চেয়েছে স্ত্রী। ইতিমধ্যে স্ত্রীকে ছেড়ে মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছে প্রেম। প্রেম ও সোনুর ধারাবাহিক দাম্পত্যের কলহেল জেরবার পুলিশও।