সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের পুরসভার মেয়র নির্বাচন নিয়ে এবার প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহর কাজে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে পদ্ধতিতে বিজেপি নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন আপ-কংগ্রেসের জোট প্রার্থীকে হারিয়েছে, তা কার্যত ‘গণতন্ত্রের নামে প্রহসন। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে’।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, মেয়র নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপার বিকৃত করেছিলেন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত পুরপ্রতিনিধিদের বৈঠক হওয়ার কথা। তার উপর অনির্দিষ্টকাল স্থগিতাদেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘লুঠের পয়সা ফেরত দিতে হবে’, তাঁর জমানায় ইডি কতটা ‘কাজের’ বোঝালেন মোদি]
জানা গিয়েছে, নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেয়র পদে আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী তথা আপ কাউন্সিলর কুলদীপ সিং। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে নতুন করে নির্বাচনের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেখানে সাড়া না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান তিনি। তার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতের এই অবস্থান কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার তথা বিজেপির কাছে ‘বড় ধাক্কা’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ৩০ জানুয়ারি মেয়র নির্বাচন ছিল চণ্ডীগড়ে। বিজেপিকে রুখতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস এবং আপ। ভোটের হিসাবে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিলেন আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কুলদীপ। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোট পায় ২০টি। অন্যদিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে কুলদীপের পাওয়া ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল। আপ-কংগ্রেস জোটের অভিযোগ, অনিল নিজেই কলম দিয়ে কয়েকটি ব্যালটে ‘দাগ’দিয়েছিলেন। পরে সেগুলোই বাতিল করেন তিনি। মেয়র নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেন চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ কিরণ খের। বিরোধী প্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল হওয়ায় তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমে হয় ১২।