রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। এবার থেকে পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটাররা একই ম্যাচ ফি পাবেন। জানিয়ে দিয়েছেন বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah)। বোর্ডের এই যুগান্তকারী সিন্ধান্তকে ‘দিওয়ালির সেরা উপহার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)।
মহিলা ক্রিকেট এখন গৃহস্থের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছে। ঝুলন গোস্বামী, মিতালি রাজ, হরমনপ্রীতরা এখন খুব পরিচিত নাম। কিন্তু ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ ঝুলন যখন শুরু করেছিলেন, তখন মহিলা ক্রিকেটের ছবিটা মোটেও এরকম ছিল না। পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে সাগর পরিমাণ বৈষম্য ছিল। দেশের জন্য ঘাম ঝরিয়েও ম্যাচ ফি ছিল অনেক কম। সেই বৈষম্য আজ দূর হল। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট সংস্থাও পুরুষ ও মহিলাদের সমবেতন চালু করেছিল। ঝুলন বলছেন, ”আমি আর মিতালি যখন শুরু করেছিলাম তখন ছবিটা এরকম ছিল না। আমি আর মিতালি চেয়েছিলাম মহিলাদের ক্রিকেটকে একটা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দিতে। সেটাই হল। আজকের এই সিদ্ধান্ত এককথায় বিশাল। যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলাই যায়। এবার অন্য খেলাতেও সাম্য প্রতিষ্ঠা করা হোক।”
[আরও পড়ুন: ভারতের মহিলা ক্রিকেটে স্মরণীয় দিন, জয় শাহকে ধন্যবাদ জানালেন হরমনপ্রীতরা]
মিতালি টুইট করে জানিয়েছেন, ভারতের মহিলা ক্রিকেটে নতুন এক যুগের সূচনা হল। হরমনপ্রীত বলেছেন, এটা স্মরণীয় এক দিন। ঝুলন বলছেন, ”মহিলা ক্রিকেট এখন প্রতিটি ঘরে ঢুকে পড়েছে। আজকের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সামাজিক দিক থেকেও পড়বে বলেই মনে করি।” উচ্ছ্বসিত ঝুলন বলছেন, ”একে দিওয়ালির সেরা উপহার বলাই যায়।”
বিশ্বকাপ না পাওয়ার দুঃখ, যন্ত্রণা নিয়ে বুট জোড়া তুলে রেখেছেন ঝুলন। ঐতিহাসিক লর্ডসে থামে ২০ বছরের বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ার। থেমে যাওয়ার আগে ঝুলন বলেছিলেন, দেশের হয়ে দুটো বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেও তিনি একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। এটাই তাঁর আক্ষেপের জায়গা। ক্রিকেটজীবনের দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সাফল্যের চূড়োয় পৌঁছেছেন। আজ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে দূর হয়েছে লিঙ্গবৈষম্য। বাকি রইল কী? কোন শৃঙ্গ এখনও জেতা হয়নি? ঝুলন বললেন, ”বাকি রইল কেবল বিশ্বকাপ জয়।”