সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2022)। গণপতির আরাধনায় মেতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। তবে জানেন কি হিন্দু ধর্মের প্রচলিত রীতি অনুসারে সব পুজোর আগেই গণেশের আরাধনা করা হয়। ঠিক কী কারণে এই রীতি চলে আসছে? জেনে নিন মাহাত্ম্য।
পুরাণে অবশ্য দু’রকমের মত রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, পার্বতী একদিন চন্দন দিয়ে একটি পুতুল তৈরি করেন। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ওই পুতুল থেকে চোখ ফেরানো কার্যত দায় হয়ে যায়। পার্বতী বলেন ওই পুতুলই তাঁর সন্তান। নিজের প্রথম পুত্র ভেবে পুতুলে প্রাণ সঞ্চার করেন পার্বতী। সদ্য প্রাণ পাওয়া প্রথম পুত্র গণেশকে ঘরে রেখে স্নান করতে যান তিনি। নির্দেশ দিয়ে যান কেউ যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার। মায়ের নির্দেশ বলে কথা, সেই মতো ঘরের সামনে পাহারা বসে গণেশ।
[আরও পড়ুন: বিশালাকার গণেশের চাপে কুমোরটুলিতে কোণঠাসা বিশ্বকর্মা]
পুরাণে অবশ্য দ্বিতীয় মতও রয়েছে। সেই মত অনুযায়ী, ত্রিভূবন পরিক্রমার প্রতিযোগিতা হয়। গণেশ এবং কার্তিক তাতে অংশ নেন। যে আগে ত্রিভূবন পরিক্রমা শেষ করে ফের শিব ও পার্বতীর কাছে ফিরে আসবেন তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে বলেই জানানো হয়। পুরস্কার হিসাবে অমরত্ব এবং জ্ঞানভাণ্ডার দেওয়া হয়। কার্তিক তড়িঘড়ি বাহন ময়ূরকে দিয়ে ত্রিভূবন পরিক্রমায় পাড়ি দেন। আর গণেশ শিব ও পার্বতীকে পরিক্রমা করে। কারণ, তিনি জানান মা ও বাবাই তাঁর কাছে ত্রিভূবন। একথা শুনেই মুগ্ধ হয়ে যান শিব-পার্বতী। বাবামায়ের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য শিব-পার্বতী তাঁকে আশীর্বাদ করেন। আর সেই অনুযায়ী গণেশ পুজোই সবার আগে করা হয়।