সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারের সাক্ষী থাকতে পারলে, কার না ভাল লাগে। তা সে সীমান্তে জঙ্গি দমনই হোক কিংবা বাইশ গজের লড়াইয়ে। সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে তাদের দুরমুশ করেছিল বিরাটবাহিনী। ‘মওকা মওকা’-র মোহে বুঁদ ভারতীয় সমর্থকরা সেদিন থেকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিলেন। আর ফাইনালে যখন বিপক্ষ সেই পাকিস্তান, তখন ‘লড়াই শুরুর আগেই জিতে গিয়েছি’ মনোভাব ছিল দেশবাসীর। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন সামনে এল অদ্ভুত এক সত্য। অনেকেই নাকি চেয়েছিলেন, ফাইনালে ভারত হেরে যাক।
হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগতেই পারে। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই মনের ইচ্ছা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। অথচ ফাইনালের আগে পাক মুলুকের সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় সরগরম ছিল নেটদুনিয়া। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। মহারণের অনেক আগে থেকেই দুই দেশের ভক্তদের মধ্যে চলছিল বাকযুদ্ধ। ‘ফাদার্স ডে-তে বুঝিয়ে দেবে কে বাবা, কে ছেলে।’ বলি অভিনেতা ঋষি কাপুরও এমন টুইট করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন এমন কী হল, যে নিজের দলেরই হারের প্রার্থনা করতে শুরু করলেন অনেকে?
নাহ, এই কামনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক কোনও সম্পর্ক নেই। পাক প্রীতি? তাও নেই। পাকিস্তানের ভাল পারফরম্যান্সের সামনে আত্মসমর্পণ করা? সেটাও কারণ নয়। আসলে ম্যাচের মধ্যে সজোরে ফাটে একটি বেসুরো বোমা। আর তাতেই পালটে যায় ভক্তদের মনের ইচ্ছা। জানেন কী বোমা ফেটেছিল? ঢিনচ্যাক পুজাকে নিশ্চয়ই মনে আছে? যাঁর বেসুরো ‘সেলফি ম্যায়নে লেলি’ গানটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। সেই গান থেকে লক্ষ লক্ষ অর্থও উপার্জন করেছেন রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে ওঠা ঢিনচ্যাক পুজা। ভারত-পাক ম্যাচের সময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, ‘ভারত জিতলেই মুক্তি পাবে আমার নতুন গান।’ কিন্তু সে গান যে শুনতে ইচ্ছুক নন কেউই! আর এই বোমার পরই সমর্থকদের প্রার্থনা বদলে যায়। অনেকে লেখেন, ‘ভারত যেন হেরে যায়।’ অনেকে আবার ম্যাচ শেষে টুইট করেন, ‘এবার বোঝা গেল কেন ভারত হেরেছে।’
হাইভোল্টেজ মহারণের ভাগ্যও চালনা করতে পারেন ঝিনচ্যাক পুজা! আহা…! এ ক্ষমতার কথা যদি তিনি জানতেন…