সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী দিবসে কন্যাসন্তানদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে অভিনব কাণ্ড করলেন কেরলের (Kerala) এক মুসলিম দম্পতি। দাম্পত্যের ২৯ বছর পর আইনি বিবাহ সারলেন তাঁরা। শরিয়ত আইন (মুসলিম ব্যক্তিগত আইন) অনুয়ায়ী কন্যা সন্তানেরা বাবা-মায়ের সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী হন না। সে কথা মাথায় রেখেই নতুন করে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ করলেন সি শুক্কুর এবং তাঁর স্ত্রী শিনা।
সি শুক্কুর পেশায় আইনজীবী, দক্ষিণী ছবির অভিনেতাও বটে, স্ত্রী শিনা পেশায় অধ্যাপিকা। বুধবার মেয়েদের সাক্ষী রেখে বিয়ে করলেন তাঁরা। যদিও ১৯৯৪ সালে প্রথম বার শরিয়ত আইনের অধীনে বিয়ে হয়েছিল শুক্কুর ও শিনার। যদিও ওই আইন অনুযায়ী, পুত্র সন্তান বাবা-মায়ের সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হলেও মেয়েরা সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশের ভাগ পান। বাকি সম্পত্তি গৃহকর্তার অবর্তমানে তাঁর ভাইদের কাছে চলে যাবে।
[আরও পড়ুন: হরিয়ানার পর উত্তরপ্রদেশ, গরু পাচারকারী সন্দেহে ট্রাকচালককে গুলি গোরক্ষকদের]
শুক্কুর জানান, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টি চিন্তিত হচ্ছিলেন। যেহেতু তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, সম্প্রতি দু’বার তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরেন। এরপরেই ভাবনা আসে, “মৃত্যুর পর পরিশ্রমের কামাই আমার মেয়েরা ভোগ করতে পারবে তো?” দক্ষিণের অভিনেতার ফেসবুক পোস্টে আরও জানান, শরিয়ত আইনে ইচ্ছাপত্র লিখে যাওয়ারও অনুমতি নেই। এই কারণেই ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ের ভাবনা মাথায় আসে যুগলের।
[আরও পড়ুন: ৬ দিনে ছ’কোটি নগদে সম্পত্তি কেনেন কেষ্ট! টাকার উৎস কী? অনুব্রতর কাছে উত্তর চাইছে ED]
শুক্কুর পরিবার অভিনব বিয়ের জন্য বেছে নেন নারী দিবসের বিশেষ দিনটিকে। মেয়েদের সাক্ষী রেখে আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিয়ে পর্ব সম্পন্ন হয় বুধবার। যা নিয়ে সি শুক্কুর বলেন, “ভারতের সংবিধানে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কোনও বিভেদ দেখে না। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমার এই সিদ্ধান্ত।’’