সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ। সেই আঁধারের ঘনত্ব বাড়ছে, ক্রমশ। একটা অদ্ভুত বিশ্বাসহীনতা, অস্থিরতা, সন্দেহের মধ্যে যে গভীর চলন, তার পাকদন্ডী বেয়ে জীবন অন্য মানে খুঁজছে নিজের। বিশেষ পোশাক, বিশেষ ধর্মের মানুষ দেখলেই অজান্তে মন প্রশ্ন তৈরি করছে। সত্যি! এ এক অদ্ভুত সময়। যেখানে ডিপ্রেশনের বাংলা মনখারাপই বটে।
তবে মহম্মদ জিকের কাছে সময় যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আক্ষরিকই। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন বলেই হয়তো জিক তাঁর জীবনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পেরেছেন। মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের আশ্রয় দেন তিনি। গত কুড়ি বছরে ৮০টি শিশুকে নিজের আশ্রয়ে রেখে ভালবাসার এক অন্য নজির রেখেছেন। যেসব শিশুরা ঘরছাড়া, যারা পরিত্যক্ত, তাদের নিয়ে আসেন তিনি নিজের আশ্রয়ে। শেষের সেদিনগুলো বড় ভাল থাকে ওরা জিকের কাছে। সম্পর্কের ঠুনকো নাম নয়, নিরাপত্তার বাঁধনে জীবনের শেষ কটা দিন তাঁর কাছে কাটায় এই সব শিশুরা।
ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ফিরে এসেছেন জিক নিজে। হারিয়েছেন স্ত্রীকে। একমাত্র সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী। আর কি থাকে কোনও মানুষের জীবনে বাঁচার উপকরণের জন্য? প্রশ্নটা নিজে থেকেই আসে। তবে এর উত্তর প্রত্যেকের কাছে আলাদা। আর জিক সেই উত্তরকেও যেন জিতে নিয়েছেন এইসব শিশুদের সঙ্গী হয়ে। অসুস্থ থাকার সময় তিনি অনুভব করেছিলেন পাশে কেউ না থাকার মানে। তাই সেই অনুভবের সীমানা সীমাবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন নিজের মধ্যেই। সফল তিনি। তাঁর কাছে এসে দিশেহারা প্রশ্নগুলো দু’দন্ড শান্তি পায়। বিক্ষত মনে প্রলেপ পড়ে সাময়িক।
The post জানেন, ২০ বছর ধরে সমাজের ব্রাত্য শিশুদেরই কেন আশ্রয় দেন এই প্রৌঢ়? appeared first on Sangbad Pratidin.