অরূপ বসাক, মালবাজার: বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ১,পড়ুয়া ৪০। বিদ্যালয়ের পঠনপাঠান থেকে মিড ডে মিল-সহ যাবতীয় কাজ ওই শিক্ষককে একাই সামলাতে হয়। এককথায় বলা ভাল, এই শিক্ষক একাই একশো।
স্বাভাবিক ভাবেই সব দিক সামলাতে গিয়ে ঘোর সমস্যায় পড়েছেন ওই শিক্ষক। তাও তিনি আবার স্থায়ীও নন, পার্শ্ব শিক্ষক। মালবাজার (Mal Bazar) মহকুমার মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত বার্মাধুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই অবস্থা। বর্তমানে ওই এক শিক্ষককে দিয়েই চলছে ওই বিদ্যালয়। জানা গিয়েছে, আগে বিদ্যালয়টিতে দু’জন শিক্ষক ছিলেন। চলতি বছরের ৩১ মার্চ বিমল সরকার নামে এক শিক্ষক অবসর গ্রহণ করায় বর্তমানে পার্শ্ব শিক্ষক বিমল ওরাওঁ নামে ওই শিক্ষকই বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: ‘ধোনি ভীষণ বিরক্তিকর অধিনায়ক’, ক্যাপ্টেন কুলকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন সতীর্থ]
একমাত্র শিক্ষক হিসেবে কাজ করার কারণে বিমলবাবু নিজের পাওনা ছুটিও নিতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে ব্লক অফিসে মিটিংয়ে যেতে হলে তাঁকে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খাইয়ে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে তবেই যেতে হয়। বিদ্যালয়টিতে ১০০ শতাংশ পড়ুয়াই তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষক বিমল ওরাওঁ বলেন, “একার পক্ষে বিদ্যালয় সামলাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ আমাকেই করতে হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হয়েছে। ব্লক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কানে গিয়েছে। সমস্যা মেটাতে ওই বিদ্যালয়ে শীঘ্রই শিক্ষক দেওয়া হবে বলেও খবর।