সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২। ফুটবলপ্রেমী স্বর্ণাক্ষরে দিনটা লিখে রেখেছে নিজেদের মনের মণিকোঠায়। হাজারো সমালোচনার জবাব দিয়ে ওই দিনই নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বজয় করে হয়ে উঠেছিলেন সর্বকালের সেরা তারকা। সে স্মৃতি এখনও ভক্তদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। আর এবারের পুজোয় ফিরতে চলেছে সেই ঐতিহাসিক দিনটি। প্যান্ডেল হপিংয়ে বেরিয়ে মেসির বিশ্বজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকতে পারবেন আপনিও!
কলকাতা তথা বাংলার পুজো মানেই চমক। নতুন নতুন ভাবনায় সেজে ওঠে মণ্ডপ। অনন্য শিল্পের সাক্ষী থাকেন পুজোপ্রেমীরা। আর এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে চলেছে এলএম টেনের বিশ্বজয়। কাতারের লুসেল স্টেডিয়ামে ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির (Lionel Messi) হাতে উঠেছিল কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ ট্রফি। আর্জেন্টিনার জার্সির উপর কাতার কর্তৃপক্ষের দেওয়া জোব্বা পরে সেই ট্রফি নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবার পুজোর (Durga Puja 2023) মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলতে চলেছে নরেন্দ্রপুর গ্রিনপার্ক সার্বজনীনের পুজো।
[আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনে আরপিএফের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে হুগলিতে অবরোধ, বিপাকে নিত্যযাত্রীরা]
ক্রীড়া প্রচারক সতদ্রু দত্তের মাথাতেই প্রথম ভাবনাটা আসে। এরপর সাদার্ন সমিতির সচিব তথা পুজো শিল্পী বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ঠিক হয়ে যায়, বাংলার উৎসবের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে বাঙালির প্রিয় ফুটবলারকে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ৩৫ ফুট উচ্চতার লুসেল স্টেডিয়াম তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। ঠিক তার উপর থেকে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার মেসিকে ফুটিয়ে তোলা হবে। তাঁর হাতে থাকবে বিশ্বকাপ। তবে কাতারের বিখ্যাত লুসেল স্টেডিয়ামটি বাইরে থেকে দর্শন করেই যে চলে যেতে হবে, এমনটা নয়। সেই ফুটবল স্টেডিয়ামে দর্শকদের উন্মাদনা থেকে মেসির বিশ্বজয়ের মুহূর্ত পরতে পরতে অনুভবও করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মধ্যে দিয়ে একেবারে বিশ্বকাপ ফাইনালের পরিবেশ ফুটে উঠবে। আর সেই সঙ্গেই হবে প্রতিমা দর্শন। এমনকী স্টেডিয়ামে থাকবে চেয়ারও। যেখানে বসেও প্রতিমা দর্শনের সুযোগ মিলবে। বাঙালির ফুটবলপ্রীতি ও দুর্গাপুজোর আমেজ নিঃসন্দেহে উৎসবের আনন্দ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।
৬৪ বছরে পা দেওয়া এই পুজো অবশ্য় এর আগেও নিজেদের থিম ভাবনায় খেলার দুনিয়াকে তুলে ধরেছে। ইলিশ-চিংড়ির লড়াই থেকে কলকাতার তিন প্রধানের ঐতিহ্য ধরা পড়েছে এই পুজোর সৃজনে। আর এবার নরেন্দ্রপুর সাক্ষী থাকবে একটুকরো কাতারের। পুজোয় দর্শনার্থীদের জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী-ই বা হতে পারে!