সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাব্য মহাভারতে দ্রৌপদীর ছিল পাঁচ স্বামী। এক পুরুষের একাধিক স্ত্রী একশ বছর আগেও বিরল ছিল না। তবে যুগ বদলেছে। সেই বদলে যাওয়া যুগেও চমকে দিলেন রাজস্থানের (Rajasthan) এক যুবক। একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ে করলেন তিনি। এমন বিবাহের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে কিনা পাত্রের ইচ্ছেতে এই কাণ্ড ঘটেনি। বরং প্রস্তাব এসেছিল পাত্রীপক্ষ থেকেই। এমন প্রস্তাব কেন দেওয়া হল? রাজি হলেন কেন যুবক?
অভিনব বিয়ের ঘটনা রাজস্থানের টোঙ্ক জেলার। বাবুলাল মীনা টোঙ্কের সিন্দা এলাকার বাসিন্দা। বাবুলালের মেয়ে কান্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন যুবক ওম হরি মীনা। ওম স্নাতক। অন্যদিকে কান্তা উর্দু নিয়ে এমএ পাশ করেছেন। ওমকে অপছন্দও হয়নি কান্তার। তথাপি বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে দ্বিধায় পড়েন তরুণী। কারণ তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট বোন সুমন। সকাল থেকে রাত অবধি যাঁর দেখভাল করতে হয় কান্তাকেই। ক্লাস এইটের বেশি পড়তে পারেনি সুমন। দিদির সাহায্য ছাড়া এক পা চলতে পারেন না।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের ফলের প্রভাব পড়বে না লোকসভায়! কংগ্রেসকে সতর্ক করলেন পিকে]
বোনের কথা ভেবেই ওমকে অভিনব প্রস্তাব দেন কান্তা। জানান, বিয়ের পরে সুমন তাঁর সঙ্গে থাকবে। এমনকী আমাকে বিয়ে করতে হলে সুমনকেও বিয়ে করত হবে। শুরুতে অস্বস্তিতে পড়লেও শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে দুই বোনকে বিয়ে করতে রাজি হন ওম। গত ৫ মে কান্তা ও সুমনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন যুবক। ওম জানিয়েছেন, তিনি সুমনকে বিয়ে করতে চাননি। কিন্তু পাত্রীপক্ষ বোঝায়, মানসিক অসুস্থতার কারণে ওঁর বিয়ে হবে না। সেই কারণেই একসঙ্গে তিন জনের সাত পাকে বাঁধা পড়া।