সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশীরা, তদন্তে আসা পুলিশকর্মীদের দল দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না। অথচ ঠাকুমা কিন্তু নির্বিকার। ১০ দিন আগে মৃত নাতির সঙ্গে দিব্য দিন কাটাচ্ছিলেন একঘরে, একসঙ্গে। নিয়মতি পরম যত্নে পরিষ্কার করছিলেন প্রাণহীন শরীরটাকে। পচা গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬৫ বছরের ঠাকুমার কাণ্ড দেখে হতবাক হন পুলিশকর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত নাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, বৃদ্ধা ঠাকুমা কি মানসিকভাবে অসুস্থ?
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বরাবাঁকির। মৃতের নাম প্রিয়াংশু। দীর্ঘদিন হল বাবা-মাকে হারনোর পর ঠাকুমার কাছেই থাকত সে। ১০ দিন আগে মৃত্যু হয় প্রিয়াংশুর। যদিও সেকথা কাউকে জানাননি ঠাকুমা। বরং নাতির দেহ আগলে বসেছিলেন। যেন সে জীবিত, এভাবেই প্রতিদিন স্নান করিয়ে পোশাক বদলে দিতেন। তবে এত করেও শরীরে পচন আটকানো যায়নি। এতে স্নেহময়ী ঠাকুমা নির্বিকার থাকলেও অস্বস্তিতে পড়েন প্রতিবেশীরা। পচা গন্ধে টিকতে পারছিল না গোটা পাড়া। বাধ্য হয়ে তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বৃদ্ধার কাণ্ড দেখে হতবাক হন। তবে বৃদ্ধাকে বুঝিয়ে নাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: লুট হওয়া অস্ত্রের ৭০ শতাংশই উদ্ধার হয়নি! জাতিহিংসায় অগ্নিগর্ভ মণিপুরে বাড়ছে উদ্বেগ]
পুলিশের দাবি, নাতির দশদিন আগে যে মৃত্যু হয়েছে, একথা বৃদ্ধা নিজেই জানিয়েছেন। কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল জানতে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এদিকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বৃদ্ধা মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ।